পাপুল কেন এমপি পদে থাকবেন, রুল

SHARE

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। ফাইল ছবি

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,১৮ আগষ্ট : মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিটের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও জাল সার্টিফিকেট দাখিলের অভিযোগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে পাপুলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভুইয়া গত ১৬ আগস্ট হাইকার্টে এ রিট করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান।

এ বিষয়ে আওসাফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পাপুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভুইয়া। তিনি সব ধরনের কাগজপত্র ও তথ্য নিয়ে এসেছিলেন আমাদের কাছে। আমরা সব কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম।

এই আইনজীবী আরো বলেন, ‘আদালত মামলাটির শুনানির প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।’

মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। লক্ষ্মীপুরের এই এমপি কুয়েতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কুয়েতে তিনি ২১ দিন রিমান্ডে ছিলেন।

সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ওই আসনটি আওয়ামী লীগ তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাপুলের পক্ষে কাজ করেন।

সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে- কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ-সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি-

(ক) কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করে।

(খ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় হতে অব্যাহতি না পেয়ে থাকেন।

(গ) তিনি যদি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।

(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।