ভিআইপিদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,২৩ এপ্রিল : বাংলাদেশে ভিআইপি বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে আক্রাত হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আলাদা কোন হাসপাতাল তৈরি বা ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ একথা জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন খবরের কাগজে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়টি সঠিক নয়। সরকার এরকম কোন ধরণের ব্যবস্থা করে নাই।

তিনি বলেন, “সকলের জন্য একই হাসপাতাল এবং একই চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”

এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন বিবৃতি না দিতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেউ যাতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোন ধরণের বিবৃতি না দেয়।

মি. মালেক বলেন, এসব কারণে “ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, যা সরকারি নীতির বহির্ভূত”।

এর আগে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে ভিআইপি, বিত্তশালী এবং বিদেশি নাগরিকদের সম্ভাব্য করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বিদেশীদের জন্য ঢাকার একটি হাসপাতাল (শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল) নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং “বিত্তশালীদের” জন্য বেসরকারি কয়েকটি বড় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিবিসিকে পাঠানো এক চিঠিতে এই ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেন। আর আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ভিআইপিদের করোনাভাইরাস জনিত চিকিৎসার জন্য কোন হাসপাতালে আলাদা কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

ওই প্রতিবেদনটি “অসত্য এবং তথ্য নির্ভর নয়” এই দাবি করে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা শহরে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য অনেকগুলি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল অন্যতম।

“ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কোন কর্মকর্তা কোভিড আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালকে নির্দিষ্ট করার জন্য তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই ইনস্টিটিউটকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনীতিকদের নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক রাষ্ট্রের সাথে বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্কের মান অক্ষুণ্ণ রাখতে ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে তাদের জন্য এ হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে।