রিফাতকে হত্যার পরিকল্পনা হয় ফেসবুক গ্রুপে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সরকার,সহকারী সম্পাদক,২৯ জুন : বরগুনায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয় ‘০০৭’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে। হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীরা হামলার আগে ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।কথোপকথনে দেখা যায়,  রিফাত ফরাজী নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গ্রুপের সবাইকে সকাল ৯টার দিকে কলেজে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরই একটি রামদার ছবি দিয়ে সেটিও নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে সক্রিয়ভাবে উত্তর দিতে দেখা যায় মোহাম্মদ নামের আরেকটি আইডিকে। দা নিয়েই উপস্থিত হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় সে।

ফেসবুক গ্রুপের সেই আলাপচারিতা-
(একটি স্ক্রিনশটের সংলাপে দেখা যায়)
রিফাত ফরাজী: ০০৭-এর সবাইরে কলেজে দেখতে চাই।
মোহাম্মদ: কোথায়?
(রিফাতের বক্তব্যকেই আবার রিপোস্ট করে সাগর নামের একটি আইডি। এরপর ‘ভিক্টরি’ ইমো দেয় সে )
রিফাত ফরাজীকে ট্যাগ দিয়ে মোহাম্মদ আবার লেখে: কোথায় ভাই?
রিফাত ফরাজী:  ৯টার দিকে।
(পরের স্ক্রিনশটে দেখা যায়)
রিফাত ফরাজী একটি দায়ের ছবি পোস্ট করেছে। তার পর বলেছে, পারলে এইটাসহ।
মোহাম্মদ : দা নিয়া আমুনে।
(এভাবেই তাদের আলাপচারিতা এগিয়ে যেতে থাকে)
জানা যায়, ‘০০৭’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে হামলায় অংশগ্রহণকারীদের। সেই গ্রুপটি চালাতেন নয়ন বন্ড। এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে গ্রুপের বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের শিগগিরই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত এগিয়ে চলছে।’  বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।