অন্ধ রিকশাচালক মনিরের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা

SHARE

453মেয়ে আফরোজা ফারিয়ার কথাশুনে রিকশা চালক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবা মনির হোসেনকে সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফেনীর দরিদ্র অন্ধ এ রিকশাচালকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার শামীম মুশফিক  সাংবাদিকদের এ খবর জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ২৯নং আসামি সাবেক ফ্লাইট সার্জেন্ট আবদুল জলিলের জন্য ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শামীম মুশফিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী দু’একদিনের মধ্যে এই অর্থ সহায়তার চেক আবদুল জলিল এবং মনির হোসেনের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

ফেনীর অসহায় দরিদ্র মনির তার জীবিকা উপার্জনের জন্য একমাত্র রিকশা চালানো ছাড়া অন্য কিছু করতে পারেন না। তিনি তার ছোট মেয়ে আফরোজা ফারিয়ার সাহায্যে দিনে ভাড়া রিকশা চালিয়ে প্রায় দেড়শত টাকা আয় করেন। তার চোখের চিকিৎসার জন্য পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করেছেন।

মনির দু’বছর বয়সে তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন। তার পরিবার এখন ফেনী সদর উপজেলায় অন্যের একটি জমিতে ছোট্ট একটি কুড়ো ঘরে বসবাস করেন। তার মেয়ে আফরোজা ফারিয়া স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। সংবাদপত্রে মনিরের এ খবর প্রকাশে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।

অন্যদিকে আবদুল জলিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অপর ৩৫ জনের সঙ্গে অভিযুক্ত হওয়ায় পাকিস্তান সরকার তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়। ১৯৬৮ সালের প্রথম দিকে এই মামলা হয়।

আগরতলা মামলায় তাকে আটক করার সময় পুলিশ প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হ্যান্ড গ্রেনেডটি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করে। গ্রেনেডটি বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসের বিজয় কেতন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।

পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করায় তিনি মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করতে পারেননি। ৮০ বছর বয়স্ক জলিল বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতা ও আর্থিক অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।