ঘুষ দিয়ে রেকর্ডিং করায় প্রাথমিক শিক্ষককে সাসপেন্ড করবার হুমকি দিলেন মেঘনার শিক্ষা কর্মকর্তা

SHARE

18765648_1790904947891784_1466537929781659858_nওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২০ ডিসেম্বর : কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলমকে ঘুষ দিয়ে টাকা গননাসহ সকল কথোপকথন মোবাইলে রেকর্ডিং করায় বড়সাপমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারঃ) আওলাদ হোসেনকে সাসপেনশনের হুমকি দিচ্ছেন উক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা। মেঘনা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রাক্তন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বদলী করে মাত্র ২ মাস আগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন এটিইও শাহ আলম। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে। তার দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারন শিক্ষকগণ বারবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয় নাই। জনশ্রুতি আছে, কুমিল্লার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলামকে প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে অবাধে লাগামহীন দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন এই নির্লজ্জ ঘুষখোর শাহ আলম। মেঘনা উপজেলা পরিষদের নভেম্বর মাসের সমন্বয় সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ বিভিন্ন শিক্ষকদের নিকট হতে যে পরিমান টাকা ঘুষ নিয়েছেন তার পরিসংখ্যান তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এর পরও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় ভূক্তভোগী শিক্ষকরা ঘুষ প্রদানের বিষয়টি মোবাইলে ধারন করবার সিদ্ধান্ত নেন। তারই অংশ হিসাবে বড়সাপমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁর বকেয়া বিল পাশের জন্য ৩০,০০০ টাকা প্রদানের সময় কৌশলে বিষয়টি মোবাইলে ধারন করেন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সরবরাহ করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম ঘুষখোর ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং ঘুষ প্রদানে বাধ্য হওয়া শিক্ষককেই সাসপেনশনের হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টি মেঘনা উপজেলার সাধারন শিক্ষকগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষকগণ রেকর্ডকৃত ডকুমেন্টটি মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে সিডি আকারে সরবরাহ করবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানা যায়।