পাবনায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোটিপতি জিনিয়া খান ও ছেলে তানজিন রাব্বি খাঁনকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে

SHARE

234ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,পাবনা প্রতিনিধি,৩০ জুলাই : পাবনায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে ধন সম্পদ ফেলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী কন্ঠশিল্পি জিনিয়া খান, তদান্ত্রিন পাকিস্থানের গর্ভনর মোনায়েম সরকারের প্রিয়ভাজন স্বর্নপদকপ্রাপ্ত,‘ পাবনার বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এডর’ক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক , পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থান চেম্বার অফ কর্মাস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল হামিদ খানের পুত্র এবং পিপ ম্যানুফ্যাকচারিং কেমিষ্ট উত্তরাধিকারী ও পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক,র স্ত্রী কন্ঠশিল্পি জিনিয়া খান। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক খানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান সহায় সম্পতি আত্বসাৎ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে রাজ্জাক খান ও তার পিতৃসম্পদ ওয়ারিশ মুলে যে সম্পদ পায়, তা থেকে বিধবা স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেন,নিরুপায় হয়ে জিনিয়া খান তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে পাবনা ছেড়ে কুষ্টিয়াতে বসবাস করছেন ।একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও একটি মহলের প্রতারনার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পাবনার কণ্ঠশিল্পী জিনিয়া খান। জিনিয়া খান আজ অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন,তাকে দেখার কেউ নেই। স্বামীর সহায় সম্পত্তি হারিয়ে আজ তিনি পথহারা একজন মানুষ। জিনিয়া খানের স্বামী মারা যাওয়ার পর তার স্বামীর বাড়ির লোকজন তার সাথে অভিনব কৌশলে শারীরীক, মানসিক ও আর্থিক ভাবে অত্যাচার করতে থাকে, তারপরও তিনি সন্তানের সুখের আশায় সব বাধা মুখ বুজে সহ্য করেছেন। কিন্তু বেশি দিন এই অত্যাচার সহ্য করতে পারেন নাই, এই অত্যাচারের ফলে জিনিয়া খান এক সময় খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর সেই অসুস্থতার সুযোগে তাকে কুষ্টিয়া পাঠানো হয় চিকিৎসা করার জন্য। তারপর থেকে জিনিয়া খান গত ২বছর কুষ্টিয়াতে অবস্থান করছেন। যেতে পারছেন না সন্ত্রাসীদের ভয়ে তার স্বামীর ভিটা পাবনার ‘পিপ’ এর বাড়িতে। কারন তার স্বামীর বাড়িতে(পিপ) গেলে তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তার মৃত স্বামীর বাড়ির লোকদের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা । বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ‘পিপ’ এর হোল্ডিং ১জন জাল দলিল করে নাম খারিজ করে এবং সেই ‘পিপ’ এর বাড়িতে বর্তমানে সন্ত্রাসী বাহিনী রাখা হয়েছে, যেন জিনিয়া খান ও তার একমাত্র সন্তান সেখানে যেয়ে কোন জমি ভোগ বা বিক্রি করতে না পারে। জানা যায়, পাবনার চাটমোহর হরিপুরে ৭.৫বিঘা আমের বাগান সহ লেখক সাহিত্যিক প্রমোদ চৌধুরীর বাগান বাড়ি নিলামে খরিদ করেন আব্দুল হামিদ খান। বর্তমানে এই বাগান বাড়ি ভূমিদস্যুরা জবর দখল করে আছে। ‘পিপ ম্যানুফ্যাকচারিং কেমিষ্ট’ এর উত্তরাধিকারী ও পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জার এই প্রতিষ্ঠানের নামে পাবনা ক্যাডেট কলেজের কাছে মাহাতাব বিশ্বাস ভাটার পাশে ১৩৫ বিঘা জমি আছে, এছাড়া পাবনার দপকুলাতে ২৮৫ বিঘা, পাবনা জমিদার পয়দা মাঠে ১৬০ বিঘা এত সম্পত্তি থাকতেও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জার একমাত্র সন্তান ও বিধবা স্ত্রী এখন অসহায়। একমাত্র সন্তান অর্থের অভাবে এস.এস.সি পাশ করে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। যার স্বামীর প্রচুর সম্পদ আর তারই কিনা চিকিৎসা করানোর এবং ঔষধ কেনার কোন টাকা নেই! জিনিয়া খান বর্তমানে ভীষণ মানসিক ও শারিরীক ভাবে অসুস্থতায় ভুগছেন। জিনিয়া খানের এই অসুস্থতার কারনে প্রতিমাসে ১০হাজার টাকার ঔষধ লাগে, সেই অর্থ যোগাতে তাকে হিমসিম পৌঁহাতে হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও জিনিয়া খান নানা কারণে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক খান নিজের জীবন বাজী রেখে পাকসেনাদের খতম করে এই দেশকে রক্ষা করেছে, আজ এই দেশ তার একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসার মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। তার ব্যবসা ও সহায় সম্পত্তি উদ্ধার করে দেয়া রাষ্টের, তাকে ব্যবসার সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে সব অর্থ সম্পদ । অর্থ সংকটে আজ এই প্রতিভাময়ী নারীর জীবন আজ বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এমনি অবস্থায় জিনিয়া খান ও তার একমাত্র পুত্র সন্তান তানজিল রাব্বী খান সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন । ঢাকা মতিঝিলের ঔষুধ প্রশাসনের’ ডিঃ ড্রাইরেক্টর আবুল খায়ের চৌধুরী তাকে জানান, তার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির পরিমান প্রায় এক হাজার কোটি টাকা । এই ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক,র স্ত্রী কন্ঠশিল্পি জিনিয়া খান জানান যে, তার স্বামী মারা গেছে আজ চৌদ্দ বছর হলো, এড,রক কোং শেয়ার হোল্ডারের লাভের অংশ দাবী করলে কোং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ উদ্দিন পাবেন বলে চৌদ্দ বছর কেটে গেল, একমাত্র ছেলে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে,কোটিপতি পুত্রবধু ও স্ত্রী হয়েও আজ রাস্তার ফকির,একমাত্র ছেলের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে য়ায়,পালিয়ে কুষ্টিয়া গিয়ে বসবাস করছে, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসাবে মানবতার কল্যানে আমার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন কন্ঠশিল্পী জিনিয়া খান। তাকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কো – অপ্ট করা হয়েছে।