কাজ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

SHARE

c9d32bf8d46f7d101772252667e3060e-596b82df5e3c4ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৭ জুলাই : সংসারের কাজ স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ভাগ করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ এ জন্য তিনি সংসারের কাজ স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ভাগ করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এতে অনেক সময় যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি পরস্পরের সান্নিধ্যে সময়টাও কেটে যাবে এবং যা দেশের অগ্রগতিতেও অবদান রাখবে।’

গতকাল রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ এবং ১৪২২ প্রদান করেন। সেখানেই প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) উইমেন নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্মজীবী নারী-পুরুষ সবাইকে কাজ ভাগ করে করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যদি দুজনের মধ্যে কাজ ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটানো যায়, তাহলে সংসারে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের পুরুষেরা এমনই অদ্ভুত ধরনের, দেখা গেল, একই সঙ্গে দুজন চাকরি থেকে এলেন। পুরুষ সদস্য বলেন উফ! আমি ভীষণ ক্লান্ত, এক কাপ চা বানিয়ে দাও তো। আর মেয়েদের কাজটা কী? ছেলেমেয়ে কোথায় কী করছে, রান্নাবান্না কী হলো। খাবার দিতে হবে, সবকিছু পরিষ্কার করতে হবে। তাঁকে একাই করতে হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষেরা যদি একটু সচেতন হন, তাহলে কিন্তু তাঁর (নারীর) কষ্টটা একটু লাঘব হয়। যদি একজন রান্না করেন, খাবার পরিবেশন করেন, এরপর আরেকজন সাফ করার দায়িত্বটা নিতে পারেন। এতে লজ্জার কিছু নেই।’

ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘আমাদের সমাজটা পুরুষশাসিত সমাজ কিন্তু ওনারা তাড়াতাড়ি টায়ার্ড হয়ে পড়েন। তো ভবিষ্যতে আর টায়ার্ড হবেন না। সবাই সবাইকে সাহায্য করবেন। যাতে কেউ টায়ার্ড না হন। সবাই যেন ভালোভাবে কাজ করতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা শিখেছি আমার ছেলের কাছে। আমি যখন আমার ছেলের কাছে গিয়েছি—দেখেছি ওরা দুজনই চাকরি করে বাসায় ফিরত। আমার বউমা রান্না করে খাবার সাজালো। এরপর খাওয়াদাওয়া হলো। আমার ছেলে বলল, বাকি কাজটা এখন তার। সে নিজেই টেবিল তুলবে, সব হাঁড়িপাতিল ধুয়ে সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে। তারপর একসঙ্গে বসে টেলিভিশন দেখবে, গল্পগুজব করবে—সেভাবে তারা সময় কাটায়। কাজে সহযোগিতা করলে লজ্জার কিছু নেই।’

সংসারের কাজে পুরুষদের ‘না’ বলারও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পারি না বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। না পারলে শিখতে হবে।