মেঘনায় ভূয়া মুুক্তিযোদ্ধাদের ছড়াছড়ি ॥ অরিজিনাল ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বাতিল

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,মোঃ ইসমাইল হোসেন,২৮ এপ্রিল : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ছড়াছড়ি। অরিজিনাল মুক্তিযোদ্ধা ভাতাপ্রাপ্তরা ষড়যন্ত্রের শিকার। গত ৭ই এপ্রিল দৈনিক রূপসী বাংলা পত্রিকায় “মেঘনায় মুক্তযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকা অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এম পির নজরে আসে। সাথে সাথে ঘটনাটি তিনি জেলা প্রশাসক কুমিল্লাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক ঘটনাটি তদন্তের অপেক্ষায় মেঘনার মুক্তিযোদ্ধারা। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ কামাল উদ্দিন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল সালামের দোকানের কর্মচারী থাকার সুবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ব্যবহার করে মেঘনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বনে যান। মেঘনা উপজেলা কমান্ডার হওয়ার পর প্রায় বক্তৃতায় বলতেন, তার হাত অনেক লম্বা। এবার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইতে বহু টাকার বিনিময়ে ভূয়া লোকদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেন। এমনকি বহু বিএনপি লোকদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করেছেন বলে অভিযোগ। মেঘনা উপজেলার আওয়ামীলীগ এমপি মেজর জেনারেল (অব:) সুবিদ আলী ভূইয়ার অজান্তে ভূুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কমিটি তৈরি করেন। এম পি ঘটনাটি জানার পর মন্ত্রী মহোদয়কে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জোর সুপারিশ করেন। মন্ত্রী বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক কুমিল্লার বরাবর প্রেরণ করেন। মুগারচরের অলিউল্লাহ বলেন, তিনি প্রকৃত সেনাবাহিনীর লোক ও মুক্তিযোদ্ধা । তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতেন। গত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনে অন্য লোকের পক্ষে ভোট চাওয়ার অপরাধে তার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করে দেন। চন্দনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সময়ে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল সালামের বড় ভাই আবদুর রাজ্জাক কোন মুক্তিযোদ্ধা না। কিন্তু বর্তমান কমান্ডার উপজেলা চেয়ারম্যানের বড় ভাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ক তালিকায় দেয়ার অভিযোগ আছে। বহু লোকজন থেকে টাকা নিয়ে বিএনপির লোকজনকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। মেঘনার মুক্তিযোদ্ধারা তালিকা পর্যন্ত জানতে পারছে না। তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা লুকিয়ে রেখেছেন। সহকারী কমান্ডারা মোঃ কামালউদ্দিন এর দুনীর্তির বিচার দাবি ও অন্যায়ের কথা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সহকারী কমান্ডার বলেন, টিটিরচর গ্রামের সামছুল হককে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে ভাতা উঠিয়ে খেয়ে ফেলেন কমান্ডার মোঃ কামালউদ্দিন। তদন্ত করলে অনেক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। মুক্তিযোদ্ধা ২১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন আন্দোলন করার জন্য।