ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫ || শ্রাবণ ৪ ১৪৩২ :
কোটা আন্দোলনের সংঘাতময় একদিন ১৯ জুলাই। এদিন সারা দেশে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রায় একশো জনের প্রাণহানি হয়। শুধু রাজধানীতেই মারা যান ৪৪ জন। সারাবিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে চলতে থাকে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন।
১৯ জুলাই। গণঅভ্যুত্থানের রক্তাক্ত একটি দিন। কেবল ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে সেদিন ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক সংষর্ষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ঝরে যায় শতাধিক প্রাণ।
১৮ জুলাই তুমুল সংঘর্ষ-সহিংসতা আর প্রাণহানিতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকলে, পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট। পরদিন, কমপ্লিট শাটডাউনে কার্যত অচল থাকে গোটা দেশ।
Advertisement
ওইদিন ঢাকায় সংঘর্ষের হটস্পট হয়ে ওঠে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, বাড্ডাসহ আরও কয়েকটি এলাকা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি, আগুনে শহর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ছাত্রজনতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষে রাজধানীতে নিহত হন অন্তত ৪৪ জন।
ঢাকার বাইরেও পরিস্থিতি ছিল সংঘাতময়। নরসিংদী, মাদারিপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারান অর্ধশতাধিক। আহত হন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারীসহ কয়েকশো। অন্যদিকে, নরসিংদী কারাগারে হামলা চালানো হলে পালিয়ে যায় ৮২৬ বন্দি।
১৯ জুলাই পুলিশ-বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর নির্বিচার গুলির ঘটনা নাড়া দেয় সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষকে। রাজপথে নেমে আসেন সংস্কৃতিকর্মী ও অভিভাবকরা।
অবস্থা সামাল দিতে ওই রাতে নেয়া হয় কারফিউ জারি ও দেখামাত্র গুলির সিদ্ধান্ত। আর আন্দোলনের এ পর্যায়ে এসে পূর্ণ সমর্থন দেয় বিএনপি।
Advertisement
https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ2
১৯ জুলাইয়ের ব্যাপক প্রাণহানি ও সহিংসতার রেশে আরও তীব্র হতে থাকে আন্দোলন। মধ্যরাত থেকে শুরু হয় কারফিউ।