ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানানোয় চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের দুই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বরখাস্তের আদেশের কপি হাতে পান দুই শিক্ষক। আদেশের কপিতে দেখা যায় তাদের বরখাস্ত করা হয় ১১ জানুয়ারি।
Advertisement
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন কলেজটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সালাম ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রিবেন ধর। নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখার সচিব সোলেমান খান এই সাময়িক বরখাস্ত আদেশ দেন।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি হিসেবে গত ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ থানাধীন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই দুই শিক্ষক রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়ান।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। সেদিন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম চট্টগ্রাম নগর ও সংলগ্ন ছয়টি সংসদীয় আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
Advertisement
অফিস আদেশে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা বক্তব্য দেয়ার সময় ওই দুই শিক্ষক নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আপত্তি জানান এবং অবান্তর কথাবার্তা বলে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এসব আচরণ নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী অসদাচরণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেই মর্মে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
আদেশে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, প্রশিক্ষণের সময় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডার অভিযোগ ছিল। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
Advertisement
জানতে চাইলে সহকারী অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, এটা বিভাগীয় বিষয়। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। বরখাস্তের বিষয়টি আজ (বুধবার) জেনেছি।