প্রেমিকের কথায় স্বামীকে তালাক, প্রেমিক লাপাত্তা 

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি ,বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে সহকর্মীর বাড়িতে চারদিন যাবৎ অবস্থান করছেন এক প্রেমিকা (২২)। তবে প্রেমিকার বাড়িতে আসার খবরে লাপাত্তা প্রেমিক ফারুক মিয়া (২৮)।

Advertisement

ফারুক মিয়া উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের মো. আবু বকরের ছেলে। ওই নারী টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এক সন্তানের মা।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ওই নারী ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান।

তিনি জানান, ওই নারী জানিয়েছেন তিনি ফারুকের সঙ্গে ভালুকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় গত এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করেন ফারুক ও স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি ফারুক তাকে বলেন স্বামীকে তালাক দিলে তাকে বিয়ে করবেন। ফারুকের কথায় স্বামীকে তালাক দেন তিনি। তবে তালাক দেওয়ার পর থেকে ফারুক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমতাবস্থায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফারুককে না পেয়ে বিয়ের দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ফারুকের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই নারী। তার আসার পর বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যান ফারুক।

Advertisement

এ বিষয়ে ওই নারী বলেন, ফারুক আমাকে বলেছে স্বামী-সন্তান ছেড়ে আসলে আমাকে বিয়ে করবে। আমি তার কথায় সব ছেড়ে চলে এসেছি। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই।

ফারুক পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার মা মোছা. সেলিনা বলেন, আমার ছেলে কোথায় আছে জানি না। এই মেয়ে অবিবাহিত হলে চিন্তা করে দেখতাম। বিবাহিত মেয়েকে ছেলের বউ করব না।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন বলেন, মেয়ের কাছ থেকে কিছু প্রমাণ দেখার পর ছেলের অভিভাবককে তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু বিবাহিত হওয়ায় ফারুকের পরিবার রাজি হচ্ছে না। পরে আমি ওই তরুণীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি।

Advertisement

ওসি মো. মাজেদুর রহমান আরও বলেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে ফারুকের বাবা মায়ের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তার যেন কোনো অসুবিধা বা তিনি যেন নির্যাতনের শিকার না হন সেজন্য একজন গ্রাম পুলিশ তাকে দেখাশোনা করছেন।