ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),আইন আদালত প্রতিনিধি, মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২৫ || কার্তিক ১২ ১৪৩২ :
নরসিংদী জেলা যুবমহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে দুজনকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মুহা. আবু তাহেরের আদালত তাদের উপস্থিততে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা এই দুই আসামি আদালতে হাজির হন। রায় ঘোষণা শেষে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া পরিচালনা করেন।
দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ৭ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক রায় ঘোষণার এই তারিখ ধার্য করেন। ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে তাদের দুজনের নামে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’-এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়।
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেন দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
দুদকের অনুসন্ধানে সর্বমোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদে তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।
Advertisement
অন্যদিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।

দুদকের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড


