(ভিডিও) পরোয়ানা থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাসদর

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),বিশেষ প্রতিনিধি,রোববার   ১২ অক্টোবর ২০২৫ ||  আশ্বিন ২৭ ১৪৩২ :

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সামরিক বাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

 

গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারির পর তা নিয়ে তুমুল আলোচনা এবং সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার না করায় জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের ক্ষোভের মধ্যে শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেস আলফাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ‍্য জানান।

 

আওয়ামী লীগ আমলের গুমের ঘটনায় দুটি মামলায় ট্রাইব্যুনাল বুধবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন। তাদের মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

 

পরোয়ানা জারির দিনই তা সংশ্লিষ্ট ১৩টি দপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান সেই পরোয়ানা এখনো না পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “তবে এরই মধ্যে তারা পদক্ষেপ নিয়েছেন।”

 

মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, “২৫ জন সেনা সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরে ১ জন, আর সেনাবাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ ছাড়া বাকি ১৫ জন এসেছেন। তারা পরিবার থেকেও আলাদা থাকছেন।”

কবীর আহাম্মাদের বিষয়ে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, “তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। এর পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলা হয়েছে যেন তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন।”

Advertisement

 

এ সময় হাকিমুজ্জামান বলেন, “সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সব আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”