(ভিডিও) ‘৩ দিন খাবার খাইনি, শুধু শৌচাগারের পানি পান করেছি’

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),‎আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ||  আশ্বিন ২১ ১৪৩২ :

গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মিশনে অংশ নিয়েছিলেন মালয়েশিয়ান গায়িকা-অভিনেত্রী দুই বোন হেলিজা হেলমি ও হাজওয়ানি হেলমি। গত শনিবার (৪ অক্টোবর) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তাদের ফেরত পাঠায় ইসরায়েল। তারা ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণকে ‘নৃশংস’ ও ‘নির্মম’ বলে বর্ণনা করেছেন।

 

আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি হামলা ও আটকের শিকার হওয়া মানবিক সহায়তা ফ্লোটিলার কর্মীদের বহনকারী একটি বিমান গত শনিবার ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই ফ্লাইটে ৩৬ জন তুর্কি এবং ২৩ জন মালয়েশিয়ান নাগরিকসহ মোট ১৩৭ জন যাত্রী ছিলেন। ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুলে পাঠানোর পর, এই কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইস্তাম্বুল ফরেনসিক মেডিসিন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। পরে তারা সাক্ষী হিসেবে কৌঁসুলিদের কাছে জবানবন্দি দেন।

Advertisement

 

তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন গায়িকা-অভিনেত্রী দুই বোন হেলিজা হেলমি ও হাজওয়ানি হেলমি। এ আলাপচারিতায় হাজওয়ানি হেলমি বলেন, “মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের সাহায্য করা। আমাদের অবরোধ থামাতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে।”

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

 

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক অবস্থার ঘটনা বর্ণনা করে হাজওয়ানি বলেন, “আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, আমরা শৌচাগারের পানি পান করেছি? অনেকে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু তারা (ইসরায়েলিরা) বলেছিল, ‘তারা কি মারা গেছে? যদি না যায়, তাহলে এটা আমার সমস্যা না।’ তারা খুবই, খুবই নির্মম মানুষ। আমি মনে করি, বিশ্বকে বলা উচিত ইসরায়েলিরা খুবই নির্মম।”

ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে আটক থাকা অবস্থায় কয়েকদিন না খেয়ে ছিলেন। তা জানিয়ে হেলিজা হেলমি বলেন, “আমি ১ অক্টোবর খেয়েছিলাম। তারপর আজ (৪ অক্টোবর) প্রথম খাবার খেলাম। তিন দিন কোনো খাবার খাইনি, শুধু শৌচাগারের পানি পান করেছি।”

 

এই কষ্টের পরও তারা মুক্তি পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হাজওয়ানি হেলমি বলেন, “আমরা তুর্কি জনগণের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। আমরা খুবই আবেগাপ্লুত। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ তুরস্ক।”

তুরস্কের ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে গায়িকা-অভিনেত্রী হেলিজা হেলমি ও হাজওয়ানি হেলমি