ত্বকী হ-ত্যা রহস্য ফাঁস করলেন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জুয়েল |
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ || আষাঢ় ২৭ ১৪৩২ :
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার নিয়ে বর্তমান সরকার কিছুটা তৎপর হলেও আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর বাবা রফিউর রাব্বি। নারায়ণগঞ্জ নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৭ মাস উপলক্ষে মোমশিখা প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে আজ রোববার সন্ধ্যায় এ কথা বলেন তিনি।
রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১১ বছর ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আগামী এপ্রিলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এই সরকারও শেখ হাসিনা সরকারের মতো বিচার অসমাপ্ত রেখে কাঠগড়ায় দাঁড়াক—তা আমরা চাই না। অবিলম্বে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবি জানাই।’
নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, বাসদের জেলা আহ্বায়ক নিখিল দাস, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস, মহিলা পরিষদের জেলা সহসম্পাদক শোভা সাহা প্রমুখ।
বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ত্বকীর বাবা বলেন, দুর্বৃত্ত রক্ষার সরকার পালিয়ে গেলেও এখন নতুন নতুন দুর্বৃত্ত তৈরি হচ্ছে। আগের দুর্নাম ঘুচিয়ে এখনো বিচার বিভাগ মুক্ত হতে পারেনি। এখনো বহু ক্ষেত্রেই বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা চলছে। দেদার মামলা–বাণিজ্য চলছে, মব জাস্টিসের নামে বর্বরতা চলছে, সরকার এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী এখনো আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না।
আদালতে দ্রুত ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়ে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘সাগর-রুনি, তনুসহ নারায়ণগঞ্জের সব হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, সরকার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে, ধ্বংসস্তূপ থেকে বিচারব্যবস্থাকে তুলে এনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।’
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় ত্বকী। এর দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১৪ সালে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চার সেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই এ বিষয়ে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হবে। কিন্তু ওই অভিযোগপত্র আজও দেওয়া হয়নি।