ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নোয়াখালীর সদর প্রতিনিধি,বুধবার ২৫ জুন ২০২৫ || আষাঢ় ১১ ১৪৩২ :
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক কিশোরী মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৭) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন।
Advertisement
রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
এর আগে, গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ভিকটিমকে বিয়ের কথা বলে ভাগিয়ে নেয় কথিত প্রতারক প্রেমিক শুভজিৎ মণ্ডল।
অভিযুক্ত শুভজিৎ মণ্ডল (১৯) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বদরতলা গ্রামের শংকর মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করত। কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীর সঙ্গে সাতক্ষীরার শুভজিৎ মণ্ডল নামে যুবকের ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়। এরপর শুভ মণ্ডল তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে টেলিগ্রামে কথাবার্তা বলে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পরবর্তীতে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৭ মে জেলা শহর মাইজদী থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আবাসিক হোটেলে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে পতিতালয়ের এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। ভুক্তভোগী কিশোরী সেখানে থাকা আরেক মেয়ের নম্বর থেকে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN/
পরিবারের সদস্যরা ১৫ জুন বিকালে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। নির্যাতিত কিশোরী বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ভিকটিম মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তবে আইন আইনের গতিতেই চলবে।
Advertisement
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম, ভিকটিম পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করেন। একটা ছেলের সঙ্গে টেলিগ্রামে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সম্পর্কের পরে ভিকটিম ছেলের সঙ্গে নোয়াখালী থেকে চলে যান। পরে ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হন। এরপর প্রেমিক তার পতিতালয়ের দালালের কাছে দিয়ে দেয় বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। তবে ভিকটিম জায়গা চেনেন না। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।