কাতার ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,  মঙ্গলবার   ২৪ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ১০ ১৪৩২ :

কাতারে ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (আইআরজিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার কথা স্বীকার করেছে।

Advertisement

 

আইআরজিসি বলেছে, তারা কাতার ও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিকে লক্ষ্য করে প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ইরানের আধা-সামরিক বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজের বরাত দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে আলজাজিরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তার দেশের কোনো সামরিক ঘাঁটি, স্থাপনা বা মার্কিনিদের ইরান হামলা করলে তার নজিরবিহীন জবাব দেওয়া হবে। এই অবস্থায় কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের হামলার ফলে কার্যত সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল।

 

 

‘অভূতপূর্ব কিন্তু সম্ভবত পরিকল্পিত হামলা’
তেহরান থেকে আলজাজিরার আলী হাশেম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, এটি মনে হচ্ছে উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর ওপর ইরানের পাল্টা হামলার শুরু।

 

ইরান বলেছে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রবিবার সকালে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া। এখন পর্যন্ত হামলার পরিসর, সময়কাল বা এটি একক আক্রমণ হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

 

আলী হাশেম বলছেন, কেউ জানে না যে, এই হামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলা চালাতে বা যুদ্ধের মধ্যে প্রবেশের অজুহাত দেবে কি না।

তিনি লিখেছেন, অনেকে মনে করেন, এটি হতে পারে একটি পরিকল্পিত হামলা। অর্থাৎ ২০২০ সালে দেখা যায়, জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে আগেভাগে জানিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইরান। ঠিক তেমনিভাবে এইবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আগাম জানানো হয়েছে। একইভাবে ইরান ফোরদো হামলার বিষয়ে আগাম অবগত ছিল বলে খবর ছিল। তবে এসব কেবল অনুমান।

আলী হাশেম মনে করেন, যাই হোক, যা কিছু ঘটবে, তা এই হামলার পরই স্পষ্ট হবে। তখনই জানা যাবে পরিস্থিতি এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব কী। এটা অবশ্যই অভূতপূর্ব।

 

ইরানের নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, হামলা ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ কাতারের বিরুদ্ধে নয়
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, আল-উদেইদ বিমানঘাঁটির ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাতারের আবাসিক এলাকা থেকে দূরে হয়েছে।

পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই কার্যক্রম বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতার এবং তার মহান জনগণের প্রতি কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না এবং ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান কাতারের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

 

কাতার এই হামলাকে তার সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।

ইরানের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার কিছুক্ষণ আগে আলজাজিরা জানিয়েছিল, দোহায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে; পরপরই আকাশে জলন্ত কুণ্ডল দেখা গেছে। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে দোহার আকাশের বড় অংশ। তখনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া না গেলেও পরে আইআরজিসি হামলার কথা স্বীকার করেছে।

 

এর আগে দোহায় একটি ড্রোন ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যায়। দেখা যায়, ড্রোনটি মাটিতে পড়ে আগুনে জ্বলছে। তবে ড্রোনটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় দেশটি। কাতারে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি।

‘ইয়া আবা আব্দুল্লাহ আল হুসেইন’ ও ‘বাশারাত ফাতেহ’ কোড নাম দিয়ে কাতারে ও ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।

এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, “সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের নির্দেশে এবং খাতাম আল আনবিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।”

ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই সফল অভিযানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ বোমা ব্যবহার করেছিল, তার সমান। শক্তিশালী ইরানি বাহিনীর হামলায় যে ঘাঁটিটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, তা কাতারের নগর স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে।”

যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা ১৪টি বোমা দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছিল, কাতার এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ‘বাশারাত ফাতেহ’ এবং ‘ইয়া আবা আব্দুল্লাহ’ কোড নামে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে।

কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি সম্পর্কে যা জানা জরুরি
কাতারে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বিমানঘাঁটি, যার নাম আল-উদেইদ। কাতারের রাজধানী দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমে এর অবস্থান। ঘাঁটিটি ৬০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত ।

আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)-এর ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার, অর্থাৎ সম্মুখ সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সেন্টকম যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা করে একটি বিশাল অঞ্চলে- পশ্চিমে মিসর থেকে শুরু করে পূর্বে কাজাখস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায়।

এই ঘাঁটি ১৯৯৬ সালে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সই হওয়া এক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে স্থাপন করা হয়।

এটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি, যেখানে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন।

ইরানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে: জাতিসংঘ মিশন

ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ইরানবিষয়ক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন।

বিস্তারিত প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় আলজাজিরা প্রকাশ করেছে।

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইরানি রেড ক্রিসেন্টের তিনজন কর্মী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য একটি ক্লিনিক এবং কেরমানশাহর একটি হাসপাতাল।

ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থানত্যাগের হুমকির কারণে তেহরানসহ বহু শহরে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে, যার ফলে লাখো মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো বর্তমানে চরম চাপের মুখে পড়েছে এবং জরুরি ওষুধ ও উপকরণের সংকট দেখা দিয়েছে; যা আহতদের সেবা দিতে ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘ মিশনের মতে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার ওপর হামলা এবং ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়তে পারে।

জর্ডানের রাজধানীতে ড্রোন ভেঙে পড়েছে

জর্ডানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেত্রা সোমবার (২৩ জুন) জানিয়েছে, রাজধানী আম্মানের উম উথাইনা এলাকায় একটি ড্রোন ভেঙে পড়েছে এবং এতে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ড্রোনটি কোথা থেকে উড়ে এসেছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ব্রেকিং নিউজে এতটুকুই জানিয়েছে আলজাজিরা।

হরমুজ প্রণালি থেকে সরে গেল তিনটি ট্যাংকার: মেরিন ট্রাফিক

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যে তিনটি তেল ও রাসায়নিক ট্যাংকার হরমুজ প্রণালি থেকে সরে গেছে।

সোমবার (২৩ জুন) ‘মেরিন ট্রাফিক’ প্ল্যাটফর্ম এই তথ্য দিয়েছে বলে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মেরিন ট্রাফিকের ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী ম্যারি সি এবং পানামার পতাকাবাহী রেড রুবি ট্যাংকার দুটি হরমুজ প্রণালির দিকে যাত্রা করার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ উপকূলের কাছে নোঙর ফেলেছে।

যুক্তরাজ্যের পতাকাবাহী কোহজান মারু ট্যাংকারটি ওমান উপসাগরে ওমানের জলসীমার কাছাকাছি চলে গেছে বলে ট্র্যাকিং ডেটা থেকে জানা গেছে।

এদিকে, ইরানের পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছে, যাতে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কেবল ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের হাতে।

ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট চিত্র

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার কিছু এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।

এবার ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। দুটি তুলনামূলক ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। ১৫ জুনের ছবির সঙ্গে ২২ জুনের ছবির তুলনা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ছবিতে সুনির্দিষ্ট ক্ষতির চিহ্ন ধরা পড়েছে।

ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আবারো ইসরায়েলের হামলা

ইরানের শক্তিশালী পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদোতে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ৩টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

ইরানের কোম প্রদেশের সংকট ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন বাহিনী ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর একদিন পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে আবারো বিমান হামলা চালিয়েছে।

হামলার বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ইসরায়েলের ৫ শহরে আঘাত হেনেছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র: আইআরজিসি

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বশেষ হামলার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।

তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, আইআরজিসি জানিয়েছে- “এই অভিযানটি সম্পন্ন করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সমন্বয়ে। এতে কঠিন ও তরল জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এবং ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার স্তর ভেদ করার জন্য বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “এখন পর্যন্ত সাফেদ, তেল আবিব, আশকেলন, আশদোদ এবং বেইসান শহরের পাঁচটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে।”

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলকে বলছে, ইরান থেকে ৪০ মিনিট ধরে চারটি ধাপে মাত্র ছয় বা সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খোলা জায়গায় বেশ কয়েকটি আঘাতের খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েল ইলেকট্রিক কর্পোরেশনের মতে, দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে আঘাতের ফলে নিকটবর্তী শহরগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।

দক্ষিণ ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান। সোমবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টার দিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা মধ্য, উত্তর ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছে। হুমকি দমন করার জন্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে।

টাইমস অব ইসরায়েল বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে ২টার দিকে জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের আশদোদ এলাকায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবরে চিকিৎসকরা সাড়া দিচ্ছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে এখনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজছে। কিছুক্ষণ আগে উত্তর ইসরায়েলের নাহারিয়া, গেশের হাজিভ, হিলা, মেওনা ও মি’ইলিয়া শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেমের উপর দিয়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উড়তে দেখা গেছে, এরপর দূর থেকে ‘একাধিক শব্দ’ শোনা গেছে।

দেশজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বেজে ওঠার পর ইসরায়েলিরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন।

Advertisement

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। সোমবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টার দিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছে। এখন এগুলো ভূপাতিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, উত্তর ইসরায়েলের নাহারিয়া, গেশের হাজিভ, হিলা, মেওনা, মি’ইলিয়াসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শহরগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আইডিএফ।

ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির ১০ সদস্য নিহত 

ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন।

দেশটির আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রবিবার মধ্য ইরানের ইয়াজদ প্রদেশে এই হামলা চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। হামলায় আরও একাধিক আইআরজিসি সদস্য আহত হয়েছেন,  তবে আহতদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়,  হামলার লক্ষ্য ছিল আইআরজিসির স্থাপনা ও সদস্যরা। ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি, তবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করেছে, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় দুই ডজন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

ইরানের ৬ বিমানবন্দরে ইসরায়েলের হামলা

ইরানের কমপক্ষে ৬টি বিমানবন্দরে সফল হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা পশ্চিম, পূর্ব ও মধ্য ইরানের কমপক্ষে ছয়টি বিমানবন্দরে বিমান হামলা চালিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হিব্রু অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দূরবর্তীভাবে চালিত ইসরায়েলি বিমানের হামলায় ইরানের ১৫টি বিমান ও হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে।

পোস্টে শেয়ার করা একটি ছবিতে তেহরানের মেহরাবাদ, মাশহাদ, দেজফুল বিমানবন্দরগুলোকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরো দাবি করেছে, তাদের নতুন এই হামলায় বিমানবন্দরগুলোর রানওয়ে, ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার, একটি জ্বালানি ভর্তি বিমান এবং ইরান সরকারের এফ-১৪, এফ-৫ ও এএইচ-১ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার মাধ্যমে বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রম ও ইরানি সেনাবাহিনীর বিমানশক্তি হ্রাস করার দাবি করেছে।

ভূপাতিত করা ইসরায়েলি হার্মেস ড্রোনের ফুটেজ প্রকাশ ইরানের

ইরানি গণমাধ্যম আজ সকালে দেশটির সামরিক বাহিনীর গুলিতে ভূপাতিত হওয়া একটি ইসরায়েলি হার্মেস-৯০০ ড্রোনের ফুটেজ প্রকাশ করেছে। খবর আলজাজিরার।

তেহরান টাইমস জানিয়েছে, সোমবার সকালে লোরেস্তান প্রদেশের খোরামাবাদে সামরিক বাহিনী অভিযানের সময় ইসরায়েলের অত্যাধুনিক ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে।

আলজাজিরার তথ্যানুসারে, এ নিয়ে দুটি হার্মেস-৯০০ ড্রোন হারাল ইসরায়েল। এর আগে গত ১৮ জুন, ইসপাহানে হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্য জানিয়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনী। সেসময়ও ব্যবহৃত বিধ্বস্ত ড্রোনটির ফুটেজ প্রকাশ করেছিল ইরান।

ইরানের কেরমানশাহ শহরের সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলার দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)  জানিয়েছে, তারা সর্বশেষ ইরানের কেরমানশাহ শহরের সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।

আইডিএফের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ১১টায় এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আইডিএফ তাৎক্ষণিকভাবে নতুন এই হামলার আরো বিস্তারিত জানায়নি।

এর আগে, সোমবার সকালে ইরানের পারচিন, কারজ, শিরাজ, তাবরিজ সহ অন্যান্য শহরে বিমান হামলার দাবি করেছে আইডিএফ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্যানুসারে, সোমবার ভোররাতে ইসরায়েলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আইলাতের কাছে একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে আইডিএফ।

বোমা হামলার পর নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় বড় গর্ত, স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, রবিবার মার্কিন হামলার পর ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার স্যাটেলাইট ছবিতে কমপক্ষে একটি বড় গর্ত দেখা গেছে। এটি বাঙ্কার ধ্বংসকারী বোমার আঘাতের ইঙ্গিত দেয়। খবর আলজাজিরার।

এপির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি ও ম্যাক্সার টেকনোলজিস কর্তৃক তোলা ছবিতে নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় প্রায় ৫ মিটার (১৬ ফুট) একটি গর্ত দেখা গেছে। গর্তটি সাইটের ভূগর্ভস্থ অংশের ঠিক উপরে অবস্থিত, যার মধ্যে সেন্ট্রিফিউজ হল রয়েছে।

ইরান এখনো নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করেনি। এর আগে, ইসরায়েলের হামলায় মাটির উপরে একটি সেন্ট্রিফিউজ হল, সেইসাথে পারমাণবিক স্থাপনাটির সব বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ধ্বংস হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। এপি বলছে, ইসরায়েলি হামলায় সম্ভবত নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার বৈদ্যুতিক সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে এপি জানিয়েছে, মার্কিন হামলার পর ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার অন্তত তিনটি স্থানে বড় গর্ত দেখা গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা মার্কিন হামলায় ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, “মার্কিন বোমা একবারে ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।”

এদিকে ইরান বলছে, মার্কিন হামলার আগেই তারা পারমাণবিক উপাদান সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট মন্ত্রণালায় পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘গুরুতর ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ বলে অভিযোগ করেছে। পাশাপাশি এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তেহরানের পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ইসরায়েলের ওপর ‘বিরতিহীন’ হামলা চলছে: আইআরজিসি প্রধান

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর বলেছেন, জায়নিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে, তাতে কোনো বিরতি নেই। খবর তাসনিম নিউজের।

রবিবার (২২ জুন) আইআরজিসি কমান্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে মেজর জেনারেল পাকপুর আরো বলেন, “আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে আছি।”

তিনি বলেন, “আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্স ইউনিটগুলো ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।”

ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর ইরানি জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংহতির প্রশংসাও করেন পাকপুর।

তাসনিম নিউজ জানিয়েছে,  ইসরায়েলি সরকার ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে বিনা উস্কানিতে আগ্রাসনের যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক এবং আবাসিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ৪০০ জনেরও বেশি ইরানি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকরা রয়েছেন।

ইরানের সামরিক বাহিনী এর পরপরই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। অপারেশন ‘ট্রু প্রমিজ ৩’-এর অংশ হিসেবে রবিবার পর্যন্ত ইসরায়েলে ২০টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।

ইরানের ওপর মার্কিন হামলার বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান কী?

সোমবার ক্রেমলিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ট্রাম্পকে একটি আপস করার প্রস্তাব দিতে পারে এবং পুতিনকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চায়। খবর আলজাজিরার।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার বিষয়ে ক্রেমলিন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়া সামরিকভাবে এই সংঘাতে জড়িত হবে না, কারণ রাশিয়া ইউক্রেনে নিজস্ব সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়াও, পুতিনের মতে, এই সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই।

রাশিয়া বহু বছর ধরে ইরানকে সমর্থন করে আসছে। অন্যদিকে রাশিয়া ইসরায়েল ইস্যুতেও খুব সতর্ক, কারণ দেড় লাখেরও বেশি রুশ-ভাষী মানুষ ইসরায়েলে বসবাস করে। পুতিন এমনকি ইসরায়েলকে প্রায় রুশ-ভাষী দেশ বলেও অভিহিত করে থাকেন।

এদিকে, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইরানের ওপর হামলা চালিয়ে আমেরিকানরা খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মার্কিন ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেকে এক নতুন যুদ্ধের মুখে ফেলেছেন।

ইরানে অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩

মধ্য ইরানে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি ড্রোনের হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ’র বরাত দিয়ে সোমবার (২৩ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মধ্য ইসফাহান প্রদেশের নাজাফাবাদ কাউন্টির গভর্নর হামিদরেজা মোহাম্মদি ফেসহারাকির বরাতে আইএসএনএ জানিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। ড্রোন হামলায় অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফেসহারাকি জানান, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চালক, রোগী ও রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজন নিহত হয়েছেন। ড্রোন হামলার পর অ্যাম্বুলেন্সটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়।

আলজাজিরার তেহরান প্রতিনিধি তোহিদ আসাদি জানিয়েছেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পারচিন শহরেও ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

Advertisement

https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN/

ইরানের কারজ, শিরাজ, তাবরিজ সহ অন্যান্য শহরেও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী ইরানের পূর্বাঞ্চল ও তেহরানে নতুন হামলা সম্পন্ন করেছে। সর্বশেষ হামলায় ইরানি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করেছে ইসরায়েল।