৭৯ ভারতীয় মুসলিমকে বাংলাদেশে পুশ করেছে বিএসএফ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি প্রতিনিধি, বুধবার   ০৭ মে ২০২৫ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩২ :

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ির কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ৭৯ ভারতীয় মুসলিম নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

Advertisement

বুধবার (৭ মে) ভোরে জোরপূর্বক এসব মানুষকে বাংলাদেশে ঢোকানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি ইউনিয়নের দক্ষিণ শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে আনুমানিক ২৭ জনের তিনটি পরিবার। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তারা সীমান্ত পার হয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাহেরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
 
আবু তাহের জানান, ‘তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিএসএফ সদস্যরা ভারতের গুজরাট থেকে তাদের ত্রিপুরায় নিয়ে আসে এবং রাতের অন্ধকারে কাঁটাতারের বেড়া পার করে দিয়ে যায়। আজানের শব্দ শুনে তারা সীমান্ত পার হয়ে আমার বাড়িতে আসে। পরে তাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেনের বাড়িতে পাঠানো হয়।’
 
এছাড়া যামিনীপাড়া এলাকার ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন তাইন্দং বিওপি সীমান্ত দিয়ে ২২ জন ভারতীয় মুসলিম বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা গেছে।

Advertisement

 
একইভাবে, পানছড়ি উপজেলার রূপসেনপাড়া বিওপি সীমান্ত দিয়ে ৩২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতায় আরও ৩০ জন ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশ করেন।
 
 
সূত্র জানিয়েছে, এসব ভারতীয় মুসলিম নাগরিকের দাবি, তাদের পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশি ছিলেন। সেই অজুহাতে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ ইন করছে।
 
এছাড়াও আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জন ভারতীয় মুসলমানকে গুজরাট থেকে বিমানযোগে ত্রিপুরা রাজ্যে এনে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে সীমান্তবর্তী এলাকায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরও খেদাছড়া, যামিনীপাড়া ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করার চেষ্টা হতে পারে।
 
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, ‘মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৭৯ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের দেখভালে রয়েছে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাদ্য ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

Advertisement

 
এ বিষয়ে এখনো বিজিবি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।