ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ময়মনসিংহের ভালুকা প্রতিনিধি, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : আজ থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার রেপটাইলস ফার্ম। টিকিটের বিনিময়ে যে কেউ ঘুরে দেখতে পারবেন এই খামারটি। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার কুমির রয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেপটাইল ফার্মের ব্যবস্থাপক ডা.আবু সাইম মোহাম্মদ আরিফ।
Advertisement
আরিফ বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুমির খামারটি উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিটি টিকেটের প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১৫০ টাকা, অপ্রাপ্তদের জন্য ১০০ টাকা। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে কুমির খামারে সংবাদ সম্মেলনে রেপটাইল ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. নাইম আহমেদ বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার আগে খামারের অবস্থা খুবই নাজুক ছিলো। অধিকাংশ কুমির অসুস্থ ছিলো। তখন প্রতিদিনেই মারা যাচ্ছিল কুমির। সেই সংকট কাটিয়ে আমরা এখন একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছি। যেহেতু কুমিরের চামড়া ছাড়া মাংস দাঁত হাড় রপ্তানি করা যায় না, ফলে খামারের খরচ চালানো একটু কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই পর্যটন চালুর এই উদ্যোগ। পর্যটন খাত থেকে যা আয় হবে তা দিয়ে কুমিরের খাবারের অনেকটা ব্যবস্থা হবে। বর্তমানে খামারটিতে আড়াই হাজারের মতো কুমির রয়েছে।’
Advertisement
রেপটাইল ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হক বলেন, ‘এই খামারটিকে বিশ্বের অন্যতম খামার হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। পর্যটনের পাশাপাশি এখানে একটি রিসার্স সেন্টারও করা হবে আগামীতে।’
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ভালুকায় ১৫ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমিরের খামার রেপটাইলস ফার্ম। খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মুশতাক আহমেদ। ৩৬ শতাংশ মালিকানা নিয়ে তার সঙ্গে ছিলেন মেজবাহুল হক। ২০১২ সালে মুশতাক আহমেদ খামারের শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় আসেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। এরপর থেকেই খামার দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নেন পিকে হালদার। ২০২০ সালে সরকার পিকে হালদার ইস্যুতে লাগাম টানেন। এরপরই হুমকিতে পড়ে কুমিরের পরিচর্যা।
Advertisement
২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ড. নাইম আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৬ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠন করে দেন। এই বোর্ড ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী খামারের কার্যক্রম শুরু করেন।