প্রতারণা মামলায় হাইকোর্টে লন্ডন প্রবাসী, নিজেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু দাবি (ভিডিও)

SHARE
???????? ?????? ????????? ????? ???????, ?????? ??????? ?????????????? ????? ???? (?????)

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ : বন্ধুত্ব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের স্থায়ী সদস্যও তিনি। নাম আব্দুল কাদির। তবে বাংলাদেশে তিনি একটি প্রতারণা মামলার আসামি। যা করেছেন তারই ফুফাতো ভাই। আর জামিন নিতে হাইকোর্টে এসে আব্দুল কাদির জানালেন যেদিন তার বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ করা হয় সেদিন তিনি লন্ডনে ছিলেন।

প্রবাসী মোহাম্দ আব্দুল কাদির প্রায় ৩০ বছর ধরে থাকেন লন্ডনে। ব্যবসায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি জড়িত আছেন ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গেও। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও গড়ে ওঠে বেশ সখ্য। সক্রিয় রাজনীতি করেন বরিসের নির্বাচনী আসনে।

কিন্তু এখানে গল্পটা অন্যরকম। এই দ্বৈত নাগরিক বাংলাদেশে আসেন চলতি মাসের ৯ তারিখ। ফেরার কথা ছিলো ২১ ডিসেম্বর। কিন্তু এর তিন দিন আগেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন হবিগঞ্জের একটি আদালত। অভিযোগ ভাইয়ের কাছে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের।

মামলার বাদি কামাল আহমেদ বলেন, আমাকে বিদেশে নেয়ার জন্য টাকা নিয়েছিল। যেহেতু আমার আত্মীয় হিসেবে আমার বাড়িতে এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তাই আমি দু’নম্বরি কাজ করার অপরাধে মামলা করেছি। সে শিটগুলো বানাতেও পারে, মুছতেও পারে।

মামলার বিবরণীতে বলা হয় ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর আব্দুল কাদের তার ভাইয়ের কাছে থেকে এই টাকা আত্মসাত করেন। অথচ মামলার নথি পর্যালোচনা ও আব্দুল কাদেরের পাসপোর্ট ঘেটে পাওয়া তখন তিনি লন্ডনে ছিলেন।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, উনি আমার নামে একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলার তারিখ, সময় এবং টাকা লেনদেনের সময় উল্লেখ করেছেন সে সময় আমি স্থায়ীভাবে লন্ডনে ছিলাম।

এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশ যে রিপোর্ট দাখিল করে তাতেও আব্দুল কাদিরকে অব্যাহতি দিয়ে রিপোর্ট দেয় পুলিশ। পরে নারাজির ভিত্তিতে যে রিপোর্ট আসে তাতে দোষী করা হয়।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল কাদির বলেন, আমরা আইনের বাহিরে কোনও কাজ করবো না। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই জন্য মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আমি নিজে আজকে স্বশরীরে এসেছি।

রোববার হাইকোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন চান আব্দুল কাদির। সব শুনে আদালত তার আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।

আব্দুল কাদিরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সরকারের বিভিন্ন জায়গায় তদবির করার ওনার সুযোগ ছিল। কিন্তু উনি আমাকে বললেন, আমরা না আগাম জামিন চাইবো, আমরা আইনের পথে চলবো। আইনের কাছে নিজ থেকে সোপর্দ করবো। আইন যেভাবে আদেশ দেবে আমি সেভাবে মান্য করে চলবো। এই কথাগুলো আমরা আজকে আদালতকে বলেছি। আদালত অত্যন্ত ধৈর্য্য সহকারে শুনে কাদির মিয়াকে আগাম জামিন দিয়েছেন।

তবে আব্দুল কাদির বলছেন আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে আদালতের অনুমতি নিয়েই দেশ ছাড়বেন তিনি।