ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১ : আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বিআরটিসির ৩০টি ও ট্রান্স সিলভার ২০টি বাস নিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। এ রুটের বাসগুলো হবে সবুজ রঙের। প্রথমে ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যে ১০০টি চলবে। বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ১০০টি বাস দিয়ে পরিচালনা করা হবে এ কার্যক্রম।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২০তম সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি ও ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ঘাটারচর-কাঁচপুর রুটে বিআরটিসির ৩০টি ও ট্রান্স সিলভার ২০টি বাস নিয়ে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। এ রুটের বাসগুলো হবে সবুজ রঙের। প্রথমে ৫০টি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কিছুদিনের মধ্যে ১০০টি চলবে। এরই মধ্যে এই রুটে যাত্রী ছাউনির কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রায় ২১ কিলোমিটারের এই রুটে বাসভাড়া হবে প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ১৫ পয়সা।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে ১৫৪৬টি অনুমোদনহীন বাস রয়েছে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। অনুমোদনহীন কোন বাস এই শহরে আর চলতে দেওয়া হবে না। এরই মাঝে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে আমরা ২৯টি বাস জব্দ করেছি। সেগুলোকে ডাম্প করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাকি যেগুলো আছে, সেগুলোকে বিনষ্ট করা হবে।
পরীক্ষামূলক চালু হতে যাওয়া রুটে যে কটি বাসের রুট পারমিট আছে, সেগুলোকে এই গ্রিন ক্লাস্টারের অন্য রুটে সমন্বয় করে দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন- ‘এ সমন্বয়ে একটু সময় লাগবে। আমরা নির্ধারণ করেছি, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সমন্বয় করে দেবো। একটা জিনিস যখন সূচনা করছি, তখন কিছু ট্রায়াল অ্যান্ড এরর থাকবে। কিছু ভুল, ব্যাঘাত হচ্ছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এগুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই রুটের সকল নতুন গাড়ি চলে আসবে।’
গ্রিন ক্লাস্টারের অধীনে সকল যাত্রাপথেই পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হবে এবং যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন যে বাসগুলো আসছে, বিআরটিএ যথারীতি সেগুলোর নিবন্ধন সম্পন্ন করবে।’
কমিটির সদস্য এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিন থেকেই এ রুটের বাসগুলোতে ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হবে। প্রতিটি বাসের ড্রাইভার-স্টাফদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকবে। সেই সঙ্গে তাদের আইডি কার্ড গলায় ঝোলানো অবস্থায় থাকবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল বলেন, ‘এই শহরে আমরা সবাই বাস করি। কেউ হরতাল, ধর্মঘট ডাকবে; সেটা কাম্য নয়। বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম শুরু করতে যেটুকু দেরি হয়েছে, সেটা কিন্তু বাস মালিকদের জন্যই। তারা বাস দেবো দেবো বলে দেরি করেছেন। কিন্তু আমরা যখন পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাস চাইলাম, তখন সেই সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এই বার্তাটুকু উনারা পেয়েছেন। আমরা দুই মেয়র একসাথে কাজ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, তারা সে ধরনের কোনো অসহযোগিতা করবে না।’
সভায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান (বর্তমানে পিআরএল এ আছেন), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিনসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।