বিএনপি নেত্রী নায়াব ইউসুফের নির্দেশে এ কে আজাদের ওপর হামলা

SHARE

এ কে আজাদ ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি: সংগৃহীত ছবি

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),ফরিদপুর-৩   প্রতিনিধি, সোমবার   ২০ অক্টোবর ২০২৫ ||  কার্তিক ৪ ১৪৩২ :

বিএনপি নেত্রী নায়াব ইউসুফের নির্দেশে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৪টার দিকে গণসংযোগের উদ্দেশ্যে পরমানন্দপুর বাজারে পৌঁছান এ কে আজাদ। তিনি প্রথমে স্থানীয় জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের যুবদল সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে আসে এবং নায়াব ইউসুফের নামে স্লোগান দিতে থাকে।

একপর্যায়ে ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দিয়ে মিছিলকারীরা এ কে আজাদকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরে এ কে আজাদ পুলিশ প্রহরায় ঘটনাস্থল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ কে আজাদের গাড়িবহর ঘটনাস্থল ছাড়ার সময় শেষের দুটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে যুবদলের নেতাকর্মীরা। এতে এ কে আজাদের এক সমর্থক আহত হন।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের বলেন, রাজনীতিতে সহিংসতার এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকও এ জাতীয় আচরণ করেননি। নায়াব ইউসুফের কাছ থেকে এ জাতীয় আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করেনি। এ সব ঘটনা রাজনৈতিক সংকটকে ঘনিভূত করবে। এ ঘটনার জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান এ কে আজাদ।

অন্যদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নায়াব ইউসুফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের স্পষ্টভাবে বলেছি, কোনো ধরনের অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াবে না। এ কে আজাদের অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পৃক্ততা থাকায় স্থানীয়দের ক্ষোভ থেকেই এমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ভাঙচুর হওয়া গাড়ি

ভাঙচুর হওয়া গাড়ি

জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পরমানন্দপুরে যুবদলের কোনো ইউনিট কমিটি নেই। আমাদের কোনো নেতাকর্মী এই ঘটনায় জড়িত নয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভাঙচুর হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে একটি এ কে আজাদের বহরের এবং অন্যটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।

Advertisement

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান বলেন, পরমানন্দপুরে হাটের দিন হওয়ায় সেখানে জনসমাগম ছিল। একই সময়ে দুই পক্ষের গণসংযোগ চলছিল। এক পর্যায়ে মুখোমুখি অবস্থায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।