ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),সুন্দরবন প্রতিনিধি, বুধবার ০১ অক্টোবর ২০২৫ || আশ্বিন ১৬ ১৪৩২ :
সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন অনার্স পড়ুয়া এক যুবক। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির আক্রমণ করে ওই যুবককে। এরপর ধস্তাধস্তি ও চোখে আঙুল দিয়ে কুমিরটিকে দুর্বল করতে পেরে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
Advertisement
ওই যুবকের নাম রাজু হাওলাদার। তিনি পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রিস্টানপাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল বারী জানান, সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে দুপুরে গোসল করতে নামেন রাজু হাওলাদার। গোসল করতে নামতেই একটি কুমির তাকে আক্রমণ করে। কুমিরটি রাজুর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে কামড়ে ধরে। তখন কুমিরের সঙ্গে রাজুর ধস্তাধস্তি হয়।
একপর্যায়ে কুমিরের চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেন রাজু। চোখে আঘাত পেয়ে কুমিরটি রাজুর পায়ের কামড় ছেড়ে দেয়। তখন তিনি দ্রুত ডাঙায় উঠে আসেন।কুমিরটি খালে ডুব দিয়ে চলে যায়।
কুমিরের কামড়ে রাজুর পায়ের ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ ও বাড়িতে আছেন।
বন কর্মকর্তা সাইফুল বারী বলেন, ‘ঘটনার সময় খালে ভাটা থাকায় পানি কম ছিল। ভরা জোয়ার থাকলে কুমির কামড়ে ধরে পানির গভীরে নিয়ে গেলে বাঁচার কোনো সম্ভাবনাই থাকতো না।’
রাজু হাওলাদার খুলনার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স পড়ছেন। তাদের বাড়িটি পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী খালের পাশেই। বাড়িতে আসার পর রাজুকে খালে নেমে গোসল করতে নিষেধ করে তার পরিবার। নিষেধ না মেনে খালে গোসল করতে নামলেই এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
বন কর্মকর্তা সাইফুল বারী আরও বলেন, ঢাংমারী খালে প্রায় সময়ই বড় বড় দুইটি কুমির দেখা যায়। তাই বনবিভাগের পক্ষ থেকে খালের পাড়ের আশপাশের মানুষদের খালে নামতে প্রতিনিয়ত নিষেধ করা হচ্ছে। তারপরও তারা তা না শুনে খালে গোসল ও মাছ ধরতে নামেন। যে কারণে মাঝে মধ্যেই এমন দুর্ঘটনার শিকার হন এখানকার মানুষ।