(ভিডিও) সাভারে আবাসিক এলাকায় দেহ ব্যবসা, অতিথির বেশে খদ্দের

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),বিশেষ প্রতিনিধি,বুধবার   ০১ অক্টোবর ২০২৫ ||  আশ্বিন ১৬ ১৪৩২ :

ঢাকা মহানগরীর অদূরে নিরিবিলি পরিবেশ ও শিল্প এলাকা হওয়ার সুবাদে সাভার উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ব্যাপকভাবে চলছে দেহ ব্যবসা। এ সব এলাকার বিভিন্ন ফ্ল্যাটে মদ ও জুয়ার আসরও বসে প্রতিদিন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান হওয়ায় অনেক মক্ষীরানি সাভারের বিভিন্ন মহল্লায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জমজমাট দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ফ্ল্যাট সাবলেট নিয়েও ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Advertisement

জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে এ সব মক্ষীরানিরা ভুয়া পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া করলেও আসলে স্বামীর পরিচয়দানকারী ব্যক্তি দালাল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা উভয়েই চাকরির কথা বলে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এদের পোশাক-পরিচ্ছদে এবং আচার-আচরণে বোঝার উপায় নেই যে, এরা দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ভদ্র শিক্ষিত মহিলার লেবাসে ঘুরে বেড়ায়। এমনকি আশপাশের বাসিন্দারাও সহজে এদের অপকীর্তি বুঝতে পারে না। খদ্দেররা যাতায়াত করে আত্মীয় পরিচয়ে। হাতে থাকে মিষ্টি কিংবা ফলের প্যাকেট। খদ্দেররা কখনোই একসঙ্গে আসে না, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের আসার সময় জানানো হয়। একজন চলে গেলে অন্য একজন আসে। এ সব ফ্ল্যাটে রাখা হয় সুন্দরী নারীদের।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ও অনেক গৃহবধূও এ চক্রের খপ্পরে পড়ে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। দেহ ব্যবসা কিংবা মক্ষীরানিদের ব্যাপারে এলাকার কেউ জেনে ফেললে কিংবা পরিচয় ফাঁস হওয়ার উপক্রম হলে তারা বাসা পরিবর্তন করে। তবে তারা কখনোই এক বছরের বেশি কোনো এলাকায় ভাড়া থাকে না। এ সব মক্ষীরানিরা যখন যে এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় সে এলাকার উঠতি সন্ত্রাসীদের হাত করে নেয়। আবার খদ্দের ধরার জন্য এদের রয়েছে একাধিক দালাল। অভিযোগ রয়েছে, দেহ ব্যবসায়ীদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা অনেক ক্ষেত্রে বিত্তবান কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের পতিতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। সামাজিক মান ইজ্জতের ভয়ে ঐ ব্যক্তিরা সন্ত্রাসীদের চাহিদা মোতাবেক মোটা অঙ্কের টাকা দিতে বাধ্য হয়।

Advertisement

সাভারের এক চিকিত্সক এ চক্রের খপ্পরে পড়ে ২৫ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। মান-সম্মানের ভয়ে তিনি বিষয়টি গোপন রেখেছেন। শিল্পনগরী সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে ভদ্রবেশী এ চক্র অনেক ক্ষেত্রে নারীশ্রমিক ও স্কুল কলেজের ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি তুলে পরবর্তীতে সেই ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটে পুরোপুরি উলটো। নিজের ইচ্ছামতো শপিং কিংবা অতিরিক্ত আয়ের আশায় অনেকে স্বেচ্ছায় দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আর নারী ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বসে মদ ও জুয়ার আসর। সাভার থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, কোনো ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ কিংবা কাউকে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।