https://www.facebook.com/share/v/19JfxG8YXD/
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),হাজারীবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি,শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ || আষাঢ় ২৭ ১৪৩২ :
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।
Advertisement
নিহত সোহাগের বন্ধু মামুন বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে মঈন প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করত সোহাগের কাছ থেকে। সোহাগ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায় দুই মাস আগে দোকানের সামনে এসে হুমকি দিয়ে যায়—তোকে দেখে নেব। আজ সন্ধ্যায় সোহাগকে একা পেয়ে মঈনসহ ৪-৫ জন মিলে তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে এবং উলঙ্গ করে নির্মমভাবে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা কেউ ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি, কারণ মঈন চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিল। তার বিরুদ্ধে মিটফোর্ড হাসপাতালের ফুটপাত ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করে চাকরি দেওয়ার কথা শোনা যায়।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি যুগান্তরকে বলেন, মঈন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। তিনি চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। বিশেষ করে দলের দুর্দিনে তিনি পাশে ছিলেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তিনি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন—এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি। দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।