ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট হোটেল জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে প্রতিনিধি,শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫ || আষাঢ় ২১ ১৪৩২ :
“দুই তিনদিন আগে মনির আসছিল, কেবিন নিয়ে ঝামেলা হইছে। ওইদিন হুমকি দিয়ে চলে গেছে। পরের দিন পোলাপান ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে, দুইজন, চারজন করে প্রায় ত্রিশ-চল্লিশ জনের মতো। পরে খাওয়া শেষে ‘মনির ভাইকে তোরা কেবিন দিস নাই’ বলেই ভাঙচুর শুরু করছে।”
Advertisement
ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকার হোটেল জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে গত পহেলা জুলাই রাতের ঘটনা এভাবে বর্ণনা করছিলেন সেখানকার জেনারেল ম্যানেজার খোকন চৌধুরী।
এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার।
অনেকটা সিনেমার দৃশ্যের মতো ভাংচুর ও মারামারি দেখা যায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে। ভিডিও’র একটি অংশে দুই নারীকে ধাওয়া করে মারধরের বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয় আরও বেশি সমালোচনা।
শুক্রবার সকালে হোটেলটি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে একেবারেই সুনসান পরিস্থিতি দেখা গেছে।
ঘটনার অগ্রগতি জানতে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতি থাকলেও হোটেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাউকেই পাওয়া যায়নি। এমনকি হোটেলের রিসিপশনিস্টও হামলার ঘটনা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
যদিও নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের এক কর্মী বিবিসি বাংলাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা না বলতে তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং “বারের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ” আছে।
Advertisement
হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার খোকন চৌধুরীর কাছে ফোনে জানতে চাইলে বলেন, ঘটনার বিস্তারিত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মেরামতের কাজ চলায় ভাঙচুর হওয়া অংশ এই মুহূর্তে বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনায় দোসরা জুলাই রাতে রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। মামলার প্রধান আসামি করা হয় স্থানীয় যুবদল নেতা মনির হোসেনকে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই দিন আগে বারে গিয়ে হট্টগোল করেছিল মনির। সেসময় দেখে নেয়ার হুমকিও দিয়েছিল সে।
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল সরোয়ার। যদিও এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা মনির হোসেন বনানী থানা যুবদলের আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। জাকারিয়া হোটেলে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনার পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে যুবদল।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
যদিও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ঘটনার মূল অভিযুক্ত মনির হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।