https://www.facebook.com/share/v/16MUFsGS9t/
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজধানীর মগবাজার প্রতিনিধি, সোমবার ৩০ জুন ২০২৫ || আষাঢ় ১৬ ১৪৩২ :
রাজধানীর মগবাজারে সৌদি প্রবাসী মনির, তার স্ত্রী ও সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ পুরোপুরি নিশ্চিতে সংগ্রহ করা হয়েছে ভিসেরা ও রক্ত।
Advertisement
এ ঘটনায় নিহত মনিরের তত্ত্বাবধায়ক চাচা রফিককে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মনিরের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রাজধানীর মগবাজারের হোটেল সুইট স্লিপের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ২৮ জুন বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে সৌদি প্রবাসী মনির ও তার তত্ত্বাবধায়ক চাচা রফিক হোটেলে আসেন রুম ভাড়া নিতে। রুম ভাড়া করে চলে যান তারা।
১৫ মিনিট পর মনির, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল রফিকও। এরপর রফিক পাশের একটি হোটেল থেকে খাবার কিনে মনিরের কক্ষে দিয়ে চলে যান।
Advertisement
পরদিন সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রফিক অসুস্থ অবস্থায় মনিরের স্ত্রীকে হোটেলের কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যান হাসপাতালে। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে রফিক তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়ে আবারো হোটেলে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর মনিরকেও নেয়া হয় হাসপাতালে এর ঘণ্টা খানেক পর মনিরের ছেলেকেও নেয়া হয় হাসপাতালে। এত কিছুর পরেও রফিক একবার জানায়নি হোটেল কর্তৃপক্ষকে। তিনজন মারা যাওয়ার পর জানতে পারে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ডিএমপির রমনা বিভাগ উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, অসুস্থ তিনজনকে হাসপাতালে নিতে রফিকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বও।
পুলিশের সুরতাহাল রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্তেও চিকিৎসকরা বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন। পুরোপুরি নিশ্চিতে সংগ্রহ করা হয়েছে ভিসেরা ও রক্ত।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
প্রবাসী মনির সৌদিতে থাকলেও ঢাকায় একাধিক বাড়ি ছিল। লক্ষ্মীপুরে ছিল বাসের ব্যবসাও। সব কিছুই খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। এদিকে মনিরের দুই ভাই দেশের বাইরে থেকে ফিরলেই এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
