ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজনীতি প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ || আষাঢ় ১২ ১৪৩২ :
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিয়েছেন দলটির সদস্য নীলা ইসরাফিল। এ ঘটনায় এনসিপির গঠিত তদন্ত কমিটিকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই অভিযোগপত্র শেয়ার করেছেন এনসিপির এই নেত্রী।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক (স্থগিত) সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে অনৈতিক, যৌন হয়রানি ও শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ।’
নীলা ইসরাফিলের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার প্রাক্তন স্বামীর দ্বারা সহিংসতার শিকার হয়ে শারীরিক, মানসিক এবং সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে মানবিক সহায়তা দেন সরোয়ার তুষার। পরে রাজনৈতিক যোগাযোগের এই সম্পর্ককে সরোয়ার তুষার ব্যক্তিগত ও অনৈতিক রূপ, যৌন হয়রানি করতে উদ্যত হন।
এ ঘটনায় চারটি সুস্পষ্ট অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন নীলা ইসরাফিল। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘তিনি (সরোয়ার তুষার) প্রায়ই রাতের বেলা কল করে বলেন, ‘‘রাজনীতি নিয়ে কথা ভালো লাগে না, তোমার কণ্ঠে ভালো লাগে প্রতিবাদের স্লোগান’’, ‘‘তোমার ঠোঁট সুন্দর’’, ‘‘একটা সুন্দর ছবি পাঠাও’’- এ ধরনের মন্তব্য বারবার আমাকে অস্বস্তি ও অপমানের মধ্যে ফেলেছে।’
নীলা ইসরাফিল আরও অভিযোগ করেছেন, ‘আমি বারবার অনুরোধ করেছি পেশাদারির সীমা রক্ষা করতে। এরপরও তিনি (সরোয়ার তুষার) বারবার ব্যক্তিগত আলাপের দিকে আলোকপাত করেন। ছবি চাইতেন এবং ভিডিও কলে কথা বলতে চাইতেন।’
Advertisement
এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘তুষার বলেন- ‘‘তোমার বিষয়ে ডিবি অফিসার আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলেছি, তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।’’ একজন রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য প্রদান চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং আমার সামাজিক মর্যাদাকে হেয় করার শামিল।’
এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ, নারীবান্ধব এবং স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নীলা ইসরাফিল। একই সঙ্গে নারী কর্মীদের জন্য স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN/
অভিযোগপত্রের শেষে এনসিপির এই নেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আমি দলীয়ভাবে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি এবং বিশ্বাস করি, সত্যের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে এনসিপি একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে, যেখানে নারী কর্মী কেবল ভুক্তভোগী নয়, বরং সম্মানিত ও নিরাপদ রাজনৈতিক অংশীদার।’
