নগদের টাকা ছিনতাইয়ে মূল পরিকল্পনাকারী প্রাইভেটকার চালক: পুলিশ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),যশোরের মণিরামপুর প্রতিনিধি,বুধবার   ১৮ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ৪ ১৪৩২ :

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জামতলা এলাকায় নগদের এক ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী প্রাইভেটকারের চালক মো. ইউসুফ আলী ওরফে সাজু।

Advertisement

 

বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।

 

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়া এলাকার মৃত খোরশেদ আলম মির্জার ছেলে মো. ইউসুফ আলী  সাজু (৩১), যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দিগদানা গ্রামের মো. ইসরাইল গাজীর ছেলে রনি গাজী (২৬), একই উপজেলার খোষাল নগর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২৪), বাঁকড়া দিকদানা গ্রামের রাশেদুল ইসলামের ছেলে মো. সুজন ইসলাম (৩৩), খোষাল নগর গ্রামের মজনুর রহমানের ছেলে মো. সোহেল রানা (২১), বাঁকড়া দিগদানা গ্রামের মৃত দিন মোহাম্মদের ছেলে মো. ইমাদুল গাজী (৪৬) ও ইমদাদুল গাজীর ছেলে মো. নাসিম গাজী (১৯)।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিস্ট্রিবিউটর রবিউল ইসলাম যশোর শহর থেকে একটি প্রাইভেটকারে মণিরামপুরে যাচ্ছিলেন। জামতলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে মোটরসাইকেলযোগে আসা ছিনতাইকারীরা তার গাড়ির গতিরোধ করে। চাপাতি হাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে ভেতরে থাকা ৫৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

Advertisement

 

ঘটনার পরপরই রবিউল ইসলাম ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করে।

যশোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশের একাধিক টিম। তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে ঝিকরগাছা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরো ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনায় ছিল প্রাইভেটকারের চালক মো. ইউসুফ আলী ওরফে সাজু। তার সহযোগিতায় বাকিরা সংঘবদ্ধভাবে ঘটনাটি ঘটায়। অভিযানে গ্রেপ্তার ইমদাদুল গাজীর হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সুজন ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জব্দ করা হয়েছে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুইটি চাপাতি, একটি টাকা বহনকারী ব্যাগ ও একটি মোটরসাইকেল।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক, ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভুঞা, মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান

নগদের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা