ইসরাইলের বিশ্বখ্যাত গবেষণাকেন্দ্রে সফল হামলা চালিয়েছে ইরান (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, সোমবার   ১৬ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ২ ১৪৩২ :

ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকেন্দ্র স্ট্র্যাটেজিক ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটে সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলায় অন্তত একটি গবেষণাগারের ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেখানে কিছু লোক আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার (১৫ জুন) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরাইলের রেহোভোটে অবস্থিত স্ট্র্যাটেজিক ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটে গবেষণাগারের ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেখানে কিছু লোক আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জরুরি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement

ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিশ্বখ্যাত। এটি ইসরাইলের সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে। এই ইনস্টিটিউটটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ড্রোন নিয়ন্ত্রণ, উন্নত অস্ত্র, সাইবার প্রতিরক্ষা এবং পারমাণবিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটে ইরানের হামলায় শুধু ভবন ভাঙচুর হয়নি, গবেষণা ও প্রযুক্তি স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ইসরায়েলের জন্য বড় ধাক্কা।

ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটের ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি বিভাগ পারমাণবিক গবেষণায় সক্ষমতা তৈরি করেছে, যা ইসরাইলের কথিত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য সহায়ক হতে পারে। যদিও ইসরাইল তাদের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কখনো সরাসরি স্বীকারোক্তি দেয় নি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট সেখানে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়া এই ইন্সটিটিউটে যুদ্ধক্ষেত্রে রোবট বা ড্রোনে ব্যবহারের জন্য এমন সেন্সর তৈরি করা হচ্ছে যা মানুষের ত্বকের মতো স্পর্শ অনুভব করতে পারে।

এটি একটি মানবসম্পদ তৈরির কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। এই ইনস্টিটিউট থেকে যে গবেষকরা বের হন, তাদের অনেকেই পরবর্তীতে ইসরাইলের সামরিক শিল্প বা গোয়েন্দা সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

টানা কয়েকদিন ধরে ইরান এবং ইসরায়েলের হামলা ও পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। গত শুক্রবার ভোরে তেহরানসহ ইরানের বেশ কিছু স্থানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ইসরাইল বিমান হামলা চালায়। পরে তীব্র শক্তি নিয়ে ইসরাইলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরানও। এমন অবস্থায় ইরানের আক্রমণে কার্যত বিপর্যস্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।