ই-কমার্সের আস্থাবাহী এক কৃতী সন্তানের প্রতিশ্রুতি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),লেখক মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা মেঘনা (কুমিল্লা) থেকে, সোমবার   ০৫ মে ২০২৫ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩২ : 

দেশের ই-কমার্স খাত আজ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে প্রতারণা আর আস্থাহীনতা, অন্যদিকে সম্ভাবনার অবারিত দ্বার। এই দ্বন্দ্বময় বাস্তবতায় একটি প্রশ্ন ক্রমেই মুখ্য হয়ে উঠেছে, আমরা কি আবার বিশ্বাস গড়তে পারব? উত্তরটি এককথায় “হ্যাঁ”, যদি নেতৃত্ব আসে ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের মতো মানুষের হাত ধরে।

Advertisement

ড. নুরুজ্জামান কেবল একজন প্রার্থী নন, তিনি এক আস্থার নাম। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার গর্বিত সন্তান এই মানুষটি প্রমাণ করেছেন, সততা, দূরদর্শিতা আর প্রযুক্তির সাহসী প্রয়োগ দিয়েই গড়ে তোলা যায় জাতিগঠনের নতুন ভিত। তিনি শুধু ই-কমার্সের উন্নয়নের কথা বলেন না, বলেন ইকোসিস্টেমের ভিত্তি গঠনের কথা। যেখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা এক সুতোয় গাঁথা।

আজ যখন ‘ভিশন’ শব্দটি অনেকের মুখে মুখে, তখন ড. নুরুজ্জামান বলছেন, “শুধু ভিশন নয়, ডেলিভারিও নয়, দরকার বাস্তবায়ন।” এই বাক্য শুধু এক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তা তাঁর সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তাঁর ইশতেহার যখন বলেন ‘আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা’, ‘প্রকৃত ই-কমার্স চিহ্নিতকরণ’, তখন বোঝা যায় এই মানুষটি স্রোতে গা ভাসানো নেতাদের মতো নন। তিনি কাঠামো নির্মাণে বিশ্বাসী, শিকড় গেড়ে আগাতে চান।

Advertisement

ড. নুরুজ্জামান সেই প্রজন্মের প্রতিনিধি, যারা দেশকে বদলাতে চায় আলো দিয়ে “not with slogans, but with systems.” তাঁর কাজের পরিধি একাডেমিক, প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নীতি পরামর্শ ও আন্তর্জাতিক সংযোগ সবখানেই বিস্তৃত। তিনি কথায় নয়, প্রমাণে বিশ্বাসী। যার প্রমাণ মেলে ড্যাফোডিলের নানা উদ্যোগ, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ-গবেষণা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে তাঁর অবদান।

কিন্তু যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন এই অসাধারণ মানুষটি একান্তই আমাদের। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার প্রান্তিক জনপদ থেকে উঠে এসে আজ যিনি দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত, তিনি শুধু ব্যক্তিগত সফলতার জন্যই অনন্য নন, তিনি ভবিষ্যতের প্রেরণাও। তাঁর মধ্যে মেঘনার মাটির গন্ধ আছে, আছে দেশের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা।

আমরা বিশ্বাস করি, ই-ক্যাব নির্বাচন কেবল একটি সংগঠনের নেতৃত্ব নির্ধারণ নয়, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির গতিপথ নির্ধারণের একটি মাইলফলক। সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের মতো একজন অভিজ্ঞ, শিক্ষিত ও সুদূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।

Advertisement

আমরা তাঁকে শুভকামনা জানাই। বিশ্বাস করি, তাঁর বিজয় শুধু একটি পদ জয় নয়, এটি হবে নৈতিক নেতৃত্বের বিজয়, একটি জনপদের গৌরব এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার দিশা।