বিকৃত যৌনাচার ও পর্নোগ্রাফি প্রচার: ২ নারী কারাগারে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),রাজধানীর বসুন্ধরা প্রতিনিধি,শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩২ :

‘ফেমডম সেশন’-এর নামে বিকৃত যৌনাচার ও নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দুই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন—শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার (২৫)।

Advertisement

 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াহাবের আদালত বৃহস্পতিবার (১ মে) তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শুক্রবার (২ মে) ভাটারা থানার পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন ওই দুই নারীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

বৃহস্পতিবার (১ মে) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘জি’ ব্লকের একটি বাসা থেকে শিখা ও সুইটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত একটি চাবুক, বিশেষ পোশাক, হাই হিল জুতা, বুট জুতা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

 

মামলার এজাহারে বাদী মো. আব্দুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, গত বুধবার ফেসবুকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে জানতে পারেন, পুরুষদের উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও প্রচার করা হয়। এ কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিরা টেলিগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দেন। এতে জড়িত নারীরা নিজেদের ‘মিসট্রেস’ হিসেবে পরিচয় দেন এবং মিস্ট্রেসদের ফেমডম সেশনে যেসব পুরুষকে নেওয়া হয়, তাদেরকে স্লেভ বলা হয়। পুরুষরা টাকার বিনিময়ে ওই নারীদের কাছে নির্যাতিত হতে আগ্রহী হন, যা ‘ফেমডম সেশন’ নামে পরিচিত।

Advertisement

ফারজানা মিলি নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করে তার দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা দেন আব্দুল্লাহ। পরবর্তী সময়ে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় যেতে বলা হয়। আব্দুল্লাহ ৩০ এপ্রিল সেখানে গিয়ে দেখতে পান শিখা আক্তার ও সুইটি আক্তারসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজন এক পুরুষকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন করছেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।