জাবিতে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুইজন গ্রেপ্তার (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে পাশের জঙ্গলে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

Advertisement

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে মামুনকে এবং ধর্ষণের অন্যতম সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে বুধবার রাত ১০টার দিকে র‍্যাব-৪ জানিয়েছে।

র‍্যাব-৪ সিপিসি-২’র কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

Advertisement

এর আগে, আলোচিত ওই ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।

Advertisement

পলাতক ছিলেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত ও ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। অবশেষে ঘটনার চারদিন পর তাদের গ্রেপ্তার করলো র‌্যাব।

গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

Advertisement

এদিকে, এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের সনদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সনদ স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের মুরাদ হোসেন, শাহ পরান, মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী, মো. হাসানুজ্জামান ও এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।

Advertisement

তাদের মধ্যে শাহ পরান ছাড়া সবাইকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং মুরাদ, সাব্বির ও মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।