যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর ২০২১ : চুয়াডাঙ্গার আলোচিত দুই গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ ও মিন্টু ওরফে কালুর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ রায় কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অন্য সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতেই দুইজনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে এ দুই আসামির শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মুরগির মাংস ও দই খাওয়ানো হয়। তাদের ইচ্ছে অনুয়ায়ী সোমবার দুপুর ও রাতে দেশি মুরগির মাংস আর দই খাওয়ানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান।


এছাড়া রোববার ইলিশ মাছ, গরুর কলিজা, তন্দুর রুটি ও মুরগির গ্রিল খাওয়ানো হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো হয়।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার দুই বান্ধবীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের আজিজুল ওরফে আজিদ ওরফে আজিজ (৫০) ও মিন্টু ওরফে কালু (৫০)।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে আজিজ ও কালুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। 
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়লক্ষীপুর গ্রামের মাঠে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের দুজনকে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় নিহত কমেলা খাতুনের মেয়ে নারগিস বেগম খুনের পরদিন আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুজনসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর দুজন হলেন, একই গ্রামের সুজন ও মহি। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আসামি মহি মারা যান।

সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আসামি আজিজুল ও মিন্টু ওরফে কালুকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকেই দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।

এরপর আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন। এরপর আসামিপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া হলেও তা নামঞ্জুর হয়।