
এরইমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলে যায় আইজ্যাকের দিনমজুরের কাজ। কাজ হারিয়েও হতাশ না হয়ে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেন দিনমজুর আইজ্যাক। ‘আইজ্যাক মুণ্ডা ইটিং’ নামে খোলেন ইউটিউব চ্যানেল। এরপর একে একে আপলোড করতে থাকেন নিজের বানানো নানা ভিডিও। হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় এক ইউটিউবার।
ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ টাকা, যা মাত্র ৫-৬ মাসের মধ্যে। এমনকি তার প্রথম আপলোড করা ভিডিও থেকেই আয় হয়েছে ৩৭ হাজার টাকা। তিনি মাসের মাথায় ৫ লাখ বার দেখা হয়েছে ওই প্রথম ভিডিওটি।
ইউটিউবার আইজ্যাক লেখাপড়া করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। বলতে গেলে করোনা তার ভাগ্যের চাবি ঘুরিয়ে দিয়েছে। ফোনে এক বন্ধুকে ইউটিউব ব্লগিং করতে দেখে ভালো লাগে আইজ্যাকের। এরপর তিন হাজার টাকা ধার করে একটি স্মার্টফোন কেনেন তিনি। বন্ধুদের সাহায্যে খোলেন একটি ইউটিউব চ্যানেল।
শুরুর দিকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা তুলে ধরতেন তার চ্যানেলে। মাটির বাড়ি, কলাপাতা দিয়ে মাদুর বানানো, থালার পাশে পড়ে থাকা ভাত সবজি দিয়ে মেখে খাওয়া ইত্যাদি।
আইজ্যাকের প্রথম ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের মেঝেতে বসে একসঙ্গে ভাত খাচ্ছেন আইজ্যাক। এটাই তার যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ৩৫ বছর বয়সী দিনমজুর এখন পেশাদার ইউটিউবার। যার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা সাত লাখ ৫২ হাজার।
আনন্দবাজার অবলম্বনে