মেঘনা উপজেলায় “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই” তালিকায় অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং মোটা অংকের টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,মোঃ ইসমাইল হোসেন,০৬ এপ্রিল : কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই” তালিকায় অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং মোটা অংকের টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা কামাল ও এমপি সুবেদ আলী ভূইয়া বরাবর আবেদনে এই কথা জানা যায়। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই এ বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমান্ডার মোঃ কামালউদ্দিন এবং ফারুক হোসেন ছিলেন। সেখানে নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামালউদ্দিন (কাঠালিয়া) ও মোঃ গিয়াসউদ্দিন বসে ছিলেন। ফারুক হোসেন (সহকারী কমান্ডার,কুমিল্লা) তাদেরকে উঠিয়ে দিন। এমন কি মেঘনা উপজেলার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেককে রুম থেকে বাহির করে মোটা অংকের টাকার বাণিজ্য করার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ জানা যায়, প্রকাশ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা নয় তাদের থেকে আব্বাস উদ্দিন ও মোঃ কামাল উদ্দিন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ক তালিকা তৈরি করেন । “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই” কমিটির তালিকায় বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্বাস উদ্দিনের নাম না থাকা সত্বেও সে ভিতরে ছিল। অনেকে বলছে, মেঘনাতে বিএনপি ও জামাত আওয়ামীলোকদের কাধে শোয়ার হয়ে যে কোন দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে। ডিজিএফ আইয়ের গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করলে সঠিক হবে বলে অনেকে মতপ্রকাশ করেন। আবেদনটি নিম্নরূপ –

বরাবর
মাননীয় সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-১)
সভাপতি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি
মেঘনা, কুমিল্লা

বিষয় ঃ মেঘনা উপজেলায় “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই” তালিকা প্রকাশে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, বিগত ০৪/০২/২০১৭ইং মেঘনা উপজেলায় “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই” কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বাছাই-কমিটির সভাপতি (মাননীয় সংসদ সদস্য) এর প্রতিনিধি হিসেবে নিম্নস্বাক্ষরকারী উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলাম। সভায় কমিটির সকলের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবেই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এক অজানা কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় যাচাইয়ে চিহ্নিত ‘ক’ ‘খ’ ‘গ’ তালিকা প্রকাশে বিলম্বিত করেন।
গতকাল ০৫/০৪/২০১৭ইং সকাল ১০.০০ ঘটিকায় উক্ত যাচাই-বাছাই কমিটির কয়েকজন সদস্যকে টেলিফোনে ডেকে এনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে উক্ত তালিকায় ব্যাপক রদবদল করে তাদের স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য যে, নিয়মানুযায়ী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ার দিনেই তালিকা প্রকাশ করার কথা এবং প্রকাশিত তালিকায় কারো অভিযোগ থাকলে ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তাকে আপীলের সুযোগ দেয়া। কিন্তু তা না করে প্রায় দুইমাস বিলম্বিত করে বিদায়ের প্রাক্কালে তরিঘড়ি করে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই তালিকা প্রকাশে অনিয়ম, বিধি-বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যমূলক মনে করে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, প্রণীত তালিকায় স্বজনপ্রীতি ও অসাধু পন্থায় কয়েকজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে অমুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর অভিযোগ রয়েছে।
এমতাবস্থায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এ তালিকায় কোন মতেই যেন অমুক্তিযোদ্ধাগণ স্থান না পায় তার বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
(মোস্তাফা কামাল)
সাবেক উপজেলা কমান্ডার ও
মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের প্রতিনিধি
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি
মেঘনা, কুমিল্লা।