কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় এক মেয়ের ব্লাক মেইলিংয়ের শিকার বহু পরিবার ॥ ন্যায় বিচারের বানী নীরবে কাঁদে

SHARE

  ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৭ মার্চ : কুমিল্লা তিতাস উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে ডলি আক্তার এর ব্লাকমেইলিং এর শিকার বাংলাদেশের বহু নীরিহ ছেলে। ব্লাকমেইলিং শিকার হয়ে বহু পরিবার ধংসের দ্বার প্রান্তে। ডলি আক্তারকে ব্লাকমেইলিং করতে সাহায্য করছে তার মা,বাপ,বোন সবাই। পরিবারের সাহায্য পেয়ে মেয়েটি হয়ে উঠে বেপরোয়া। ব্লাকমেইলিং করছে বীর দর্পনে। এরা কোন একজন এমপির আত্মীয় পরিচয়ে আইনের সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে যায় সহজে। ডলি আক্তার রাজধানীর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বি বি এ ছাত্রী। ব্লাকমেইলিং এর টাকায় সে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করছে। ঢাকা শান্তিবাগে তার বড বোন বিউটি এই মেয়েটির ব্লাকমেইলিং সর্ব প্রকার সহযোগিতা করে। তার বড় বোন বিউটির কাছে ব্লাকমেইলিং টাকা পয়সা গচ্ছিত থাকে। তিতাস উপজেলার রতনের সাথে ডলি আক্তারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। ছেলেটি জড়িয়ে পড়ে ডলি আক্তারের মিথ্যা প্রেমের ছলনায়। প্রেমের সূত্র ধরে ছেলেটি ডলি আক্তারকে বিবাহ করতে চায় । ডলি আক্তার বিবাহের কথা বলে ছেলেটির কাছ থেকে প্রায় তিন লখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মেয়েটি লেখাপড়া খরচ চালাতে থাকে ছেলেটি। বিবাহ করার সূত্র ধরে ছেলেটি বিদেশ থেকে কষ্টে উপার্জিত সব টাকা পয়সা মেয়েটিকে দিতে থাকে। বাপ মা কথা ভূলে যায় মেয়েটি মিথ্যা প্রেমে পড়ে। এর ফাঁকে মেয়েটি ঢাকাতে অন্য ছাত্রকে নানা কৌশলে বিয়ে করে। ঐ ছেলেটির কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় বহু টাকা। বিয়ে কথা জানতে পারে বিদেশ থাকা ছেলেটি। পাগলের মতো হয়ে যায়। টাকা ফেরত চায় মেয়েটির বাপ আশরাফ আলীর কাছে। সে টাকা ফেরত দিতে অম্বীকার করে। ছেলেটির পরিবার ন্যায় বিচারের আশায় লিখিত বিচার দাবী করে মজিদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ফারুকের কাছে। চেয়ারম্যান সাহেব গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ইং তারিখে একটি আবেদন পত্র জমা রাখেন ছেলের অভিবাবকের কাজ থেকে। এ কয়দিন তিনি মেয়ের পিতার সাথে কথাবার্তা বলে ব্যর্থ হন। ছেলের অভিবাবক তিতাস নির্বাহী অফিসারের কাছে ন্যায় বিচারের আশায় আবেদন করেন। তিতাস নির্বাহী অফিসার আবেদন পত্রটি তিতাস মহিলা কর্মকর্তা শারমিন শারমিন আরাকে তদন্ত করতে দেন। শারমীন আরা মেয়ে বড় বোন বিউটি সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বলেন তাহার পিতা আশরাফ আলীকে যোগাযোগ করতে। বিউটি যোগাযোগ করে তাহার পিতা আশরাফ আলীর সাথে। আশরাফ আলী ০১৮৩০১৩৫৩৩৮ নাম্বারে ছেলেটির অভিবাকের সাথে যোগাযোগ করে আবেদনকারীকে মারধর করার হুমকি দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে ফেলে। আবেদনকারী ন্যায় বিচার চেয়ে হুমকির স্মুখিন এক ব্লকমেইলিং পরিবারের কাছে। আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করি পরিবারটির সাথে কিন্তু আশরাফ আলী,তাহার স্ত্রী জোহরা বেগমের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। ডলি আক্তারের বড় বোন বিউটির ০১৬২৪৩৭০১৬৩ নাম্বারে কথা বলি, ডলি আক্তারের সাথে কথা বলা জন্য,বিউটি রাগানিত হয়ে বলে ডলি আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে,মোবাইল নাম্বার দেয়া যাবে না বলে জানায়।