(ভিডিও) শনিবার বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হাদির জানাজা

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বিশেষ  প্রতিনিধি, শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২ :

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে। আগামীকাল শনিবার বাদ জোহর ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

 

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওয়ানা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

 

হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরে হবে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দেশটির দ্যা আঙ্গুলিয়া মসজিদে জানাজা হবে।

এদিকে, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে ওসমান হাদির মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

 

বৃহষ্পতিবার রাত ৯টা ৪৫মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওসমান হাদি।

পুরানা পল্টন এলাকায় গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ওই রাতেই সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

 

শরিফ ওসমান হাদি ১৯৯৩ সালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, যার আদর্শ ও নৈতিক শিক্ষা হাদির জীবন গঠনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম।

ওসমান হাদির শিক্ষা জীবনের ভিত্তি গড়ে ওঠে ঝালকাঠির বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ঢাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেন।

 

ছাত্রজীবন শেষ করার পর হাদি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে আলোচনায় আসেন হাদি। ইনকিলাব মঞ্চ প্রতিষ্ঠার পর জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে ধারাবাহিক সমাবেশ আয়োজন করেন হাদি।

Advertisement

বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শোতেও নিয়মিত আমন্ত্রণ পেতে থাকেন। প্রথমে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হলেও পরে আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন।