জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডে নতুন আসামি বিচারের মুখোমুখি দাউদকান্দির সাবেক চেয়ারম্যান সুমন

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,সবার দেশ পত্রিকার সৌজন্যে , রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২ :

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

প্রসিকিউশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় দাউদকান্দিতে নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে মো. রিফাত হোসেন ও মো. বাবু নামে দুই আন্দোলনকারী নিহত হন এবং আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এসব হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনের বিরুদ্ধে।

প্রসিকিউশন আরও জানায়, অভিযুক্ত সুমন রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি সাবেক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে হওয়ায় ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বলেও উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, দাউদকান্দি মডেল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় চলতি বছরের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন মোহাম্মদ আলী সুমন। এরপর থেকে তিনি কুমিল্লা জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।

Advertisement

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একের পর এক অভিযুক্তকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনার প্রক্রিয়াকে বিচার নিশ্চিতের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।