(ভিডিও) হাদি গুলিবিদ্ধ: সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে যা জানা গেল

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বিশেষ প্রতিনিধি, রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২ :

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর বিজয়নগর এলাকায় অজ্ঞাত দুই দুষ্কৃতকারীর গুলিতে আহত হন তিনি।

Advertisement

ঘটনার পর পুলিশ ও সিআইডির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি ও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুই হামলাকারীর চেহারা ও পোশাকের সঙ্গে ওসমান হাদিরে নির্বাচনি জনসংযোগে অংশগ্রহণকারী দুই ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য ডিসেন্ট’ তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানায়, পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ এবং হাদির জনসংযোগ দলের তোলা দুটি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাইকযোগে গুলি ছোড়া দুই ব্যক্তি আজ দুপুরে মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় হাদির জনসংযোগে উপস্থিত ছিলেন। তখন তারা মুখে মাস্ক পরে জনসংযোগে অংশ নেন।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

 

হামলাকারী দুইজনের একজনের গায়ে ছিল কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর ও আকাশি রঙের প্যান্ট। অন্যজন পরেছিলেন কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা এবং চামড়া রঙের জুতা।

সিসিটিভিতে ধরা পড়া পোশাক ও জনসংযোগে দেখা পোশাকের মিল থাকায় হামলাকারী শনাক্তে আজকের জনসংযোগের আরও ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করছে তদন্তকারী সংস্থা।

এর আগে পুলিশ ও সিআইডি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানের পাশ থেকে ২টি গুলির খোসা উদ্ধার করে সিআইডি। গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে খোসাগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার করা খোসা পরীক্ষা করে অস্ত্রের ধরন ও গুলির উৎস শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।

হাদির সঙ্গে থাকা মিসবাহ জানান, জুমার নামাজ শেষে বিজয়নগর কালভার্ট এলাকার কাছে রিকশায় যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেলে এসে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি করার পর হামলাকারীরা দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে রিকশাতেই হাসপাতালে আনা হয়।

Advertisement

গত ১৪ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া একটি পোস্টে শরিফ ওসমান হাদি দাবি করেছিলেন, তাকে হত্যা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংস হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি লেখেন, বিদেশি নম্বর থেকে একাধিক কল ও মেসেজের মাধ্যমে তাকে নজরদারিতে রাখা এবং তার পরিবারকে ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে।