ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,শুক্রবার ০৭ নভেম্বর ২০২৫ || কার্তিক ২৩ ১৪৩২ :
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলি ও হত্যার পেছনে শীর্ষ সন্ত্রাসী বড় ও ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের হাত রয়েছে। নিহত বাবলার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এটি পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা বা কেউ আটক হয়নি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খন্দকারপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন। গুলিতে প্রাণ যায় সারোয়ার বাবলার। এলাকাজুড়ে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এরশাদ উল্লাহর কাছে দাঁড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন বাবলা। এ সময় খুব কাছ থেকে ঘাড়ের পেছনে গুলি করা হয় বাবলাকে।গুলি তার ঘাড় ভেদ করে গিয়ে লাগে এরশাদ উল্লাহর শরীরে। তবে অল্পের জন্যই তিনি প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
প্রকাশ্যে এমন ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ গ্রুপ বাবলাকে আগে দুইবার হত্যাচেষ্টা চালায়। কয়েক দিন আগে হুমকি দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এলাকাবাসী ও বাবলার স্বজনরা জানান, এ ঘটনার মূলে রয়েছে সাজ্জাদ, যিনি ভারতে বসে আছে। ভারতে থেকে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করে। সাজ্জাদের ৫০ জনের একটি বাহিনী রয়েছে, যেটি বর্তমানে ইমন ও রায়হান নিয়ন্ত্রণ করছে। বাবলাকে তিন দিন আগে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেল হলো।
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

আহত এরশাদ উল্লাহ এখনও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানান স্বজনরা।
এরশাদ উল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুল ইসলাম মুন্না মুঠোফোনে বলেন, তিনি এখন সুস্থ আছেন। তবে তার প্রেসার, ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে, এ জন্য চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। অপারেশনের সেলাই ঘুচতেও কিছুদিন সময় লাগবে।
নির্বাচনের আগে এমন ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলছেন বিএনপি নেতারা। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আহতদের দেখতে গিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যিনি মারা গেছেন তিনিও সন্ত্রাসী, যারা গুলি করেছে তারাও সন্ত্রাসী। এরা আমাদের দলের কেউ নয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রমতে, ছোট সাজ্জাদ গ্রুপ ঘটনার জন্য দায়ী সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। গ্রুপের বর্তমান নেতা রায়হানসহ ৭ থেকে ৮ জন এ হামলায় অংশ নিয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি, মামলা হবে। দোষীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, বায়েজীদ-পাঁচলাইশ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সারোয়ার বাবলার সাথে দ্বন্দ্ব ছিল বড় সাজ্জাদ ও ছোট সাজ্জাদের। এক সময় সবাই সাজ্জাদ বাহিনীর হয়ে কাজ করলেও; পরে তারা বিভক্ত হয়ে পড়ে।

২০০০ সালে পুলিশের হাতে আটক বড় সাজ্জাদ (বামে) ও ডানে ছোট সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত



