ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),আইন আদালত প্রতিনিধি, শনিবার ২৫ অক্টোবর ২০২৫ || কার্তিক ৯ ১৪৩২ :
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে সাত থেকে আট বছর বয়সী মেয়ে। ওই সময় ভিড়ের মধ্যেই কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারেন। এমন ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাটিকে ঘিরে পুলিশকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
Advertisement

তবে পুলিশের দাবি, ওই শিশুকে তাদের সদস্যদের কেউ চড় মারেননি। কে ওই শিশুকে চড় মেরেছে, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন তারা।
জানা গেছে, ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার। ওইদিন ভোরে মাদক কারবার নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় মো. জাহিদ (২০) নামে এক যুবক নিহত হন। পরবর্তীতে ওই ঘটনার জেরে একই দিন সন্ধ্যায় জেনেভা ক্যাম্পে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারমধ্যে একজন ছিলেন রুস্তম।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে রুস্তমকে জড়িয়ে ধরেই কাঁদতে দেখা যায় তার সাত থেকে আট বছর বয়সী মেয়েকে। ওই সময় পুলিশ যখন রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন শিশুটি সেটি দেখে ভিড়ের মধ্যেই বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। ঠিক সেই সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারেন। পরবর্তীতে ছোট্ট সেই শিশুটিকে বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

তবে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন। সোশ্যালে কেউ কেউ লেখেন, অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতেই পারে, কিন্তু বাচ্চা মেয়েটিকে এভাবে মারা মেনে নেয়া যায় না। আবার কেউ কেউ লেখেন, সাত থেকে আট বছরের বাচ্চার সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। যদিও অনেকে আবার রুস্তমকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে তারও সমালোচনা করেন।
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেদিনের অভিযানের সময় অন্যদের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি পেছন থেকে টেনে রুস্তমকে সামনের দিকে আনছিলেন। ওই সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অনেক সাধারণ মানুষও ঘটনাস্থলে ভিড় করছিল। সেই সময়ে কে ওই শিশুটিকে চড় মেরেছে সেটি তিনি দেখেননি।
Advertisement
ভাইরাল ভিডিওটির বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। তবে পুলিশ সদস্যদের কেউ শিশুটিকে চড় মারেনি। সেদিন ইয়াবাসহ জাহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর শিশুটি তার বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। ওই সময় স্থানীয়দের কেউ একজন তাকে চড় মারেন। এটি ঠিক হয়নি। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।



