(ভিডিও)সোনারগাঁও হোটেলে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে কেন চড় মেরেছিলেন সালমান?

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),বিশেষ প্রতিনিধি, মঙ্গলবার   ২১ অক্টোবর ২০২৫ ||  কার্তিক ৫ ১৪৩২ :

সালমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সালমান শাহর ছোট ভাই শাহরান। ২০১৭ সালে দাবি করা সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার সুযোগ পেলেন সালমানের পরিবার। অবশেষে দায়ের করা হয়েছে হত্যা মামলা। এই মামলায় আসামি হয়েছেন স্ত্রী সামিরা, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ডনসহ ১১ জন।

Advertisement

 

শাহরান ২০১৭ সালে লাইভে বলেছিলেন, সামিরাকে ‘কিস’ করার জন্য আজিজ মোহাম্মদকে ভাইকে সালমান প্রকাশ্যে সোনারগাঁও হোটেলে চড় মেরেছিল। এই বিষয়টা সবাই জানে। ওইদিন টাকাসহ সামিরাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সালমান ভাই, এ টাকা কিভাবে পেয়েছিল সামিরা তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি … সম্ভবত এই টাকা দিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করার কাজে নিয়েছিল সামিরা আজিজের কাছ থেকে।

শাহরান বলেছিলেন, সালমান শাহ হত্যার পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।

  যখন সালমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাদের সঙ্গে চালাকির আশ্রয় নেওয়া হয়। আমার বাবা-মাকে আলাদাভাবে সরিয়ে দিয়ে দ্রুত পোস্ট মর্টেম করতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি পোস্ট মর্টেম এর সময় থাকতে চেয়েছিলাম। আমাকে থাকতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

শাহরান লাইভে দাবি করেছিলেন সালমান শাহর ওজনের কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি সে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করে, তাহলে ফ্যান একটুও বাঁকা হলো না কেন? ফ্যান তো ভেঙে পড়ার কথা। সালমান শাহ যদি আত্মহত্যাই করে থাকে তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে কেন করল? মানুষ তো ঘুম থেকে উঠে এরকম করতে পারে না, করলে রাতেই করতে পারত।

সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে শাহরান বলেন, যদি সালমান শাহ আত্মহত্যা করে থাকে, তাহলে তার রুমের দরজায় কেন দায়ের কোপ থাকবে? দেয়ালে কেন ধস্তাধস্তির চিহ্ন থাকবে? আমি নিজে দেখেছি সেসব। আমার ভাই মার্লবোরো গোল্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট খেত, সেখানে অন্য ব্র্যান্ডের সিগারেটের খোসা এলো কোথা থেকে? কারা খেয়েছিল এই সিগারেট?

শাহরান বলেছিলেন, আমার ভাইকে আমি চিনি, আমার সঙ্গে সে অনেক ঘনিষ্ঠ। যদি তার মনে কোনো এরকম চিন্তা থাকত, তাহলে অবশ্যই আমার সঙ্গে শেয়ার করত।

Advertisement

 

আমরা একই বিছানায় ঘুমাতাম। দাফনের আগে আমি তাকে গোসল করিয়েছিলাম। আমি তার ফাঁসির কোনো চিহ্ন ছিল না, একটা টেলিফোনের তার জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।