(ভিডিও) ঝিনাইদহে বলাৎকারের প্রতিশোধে নিতে ব্যবসায়ীকে হত্যা

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম ((ভিডিও),ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,বুধবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩২ :

ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর তোয়াজ উদ্দীন (৫৩) হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী তানভীর হাসান (১৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

Advertisement

 

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, তাকে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য হত্যাকারী পালিয়ে যাওয়ার সময় তোয়াজের ঘরের দেওয়ালে লিখে রেখে যায়, “তাকে মারার কারণ, সে মুহাম্মাদ (সঃ)কে গালি দিছে, তাঁর নামে খারাপ কথা বলেছে, আল্লাহু আকবার।”

 

তানভীর হাসান যশোর কোতয়ালি থানার কামারগন্যা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। ঘটনার ২১দিন পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ২০২২ সালে ব্যবসায়ী তোয়াজ উদ্দিনের সাথে তানভীরের পরিচয় হয়। স্ত্রী না থাকায় তোয়াজের সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তানভীরের। সেই সূত্র ধরে তানভীর তোয়াজ উদ্দীনের ঢাকার বাসা ও গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত করতো।

Advertisement

আবশ্যক

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

গত ১ সেপ্টেম্বর তোয়াজ উদ্দিনের সাথে তানভীর হাসান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে আসে। ঐ রাতে তোয়াজ উদ্দিন জোরপূর্বক তানভীর হাসানকে বলাৎকার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় তানভীর। পরে তোয়াজ উদ্দিন ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের মধ্যে থাকা পাথর (শীল) দিয়ে ঘুমন্ত তোয়াজের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে তানভীর। হত্যার তিনদিন পর ৩ সেপ্টম্বর তোয়াজের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর জানায়, তোয়াজকে হত্যার পর তার পা বেঁধে ফেলে। তোয়াজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে ঘর তালাবদ্ধ করে চাবি পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। যাওয়ার সময় দেওয়ালে একটি চিরকুট লিখে রেখে যায়। তাতে লেখা ছিল “তাকে মারার কারণ সে মুহাম্মাদ (সঃ)কে গালি দিছে, তাঁর নামে খারাপ কথা বলেছে, আল্লাহু আকবার।”

 

এলাকার চেয়ারম্যান খুরশিদ মিঞা বলেন, “সে যে সমকামি ছিল তা এলাকার মানুষ মোটেও জানতেন না। তোয়াজ গ্রামের বাড়িতে এলে মাদ্রাসার ছাত্ররা আসা যাওয়া করতো। গ্রামবাসী মনে করতো মাদ্রাসা ছাত্রদের সে আর্থিক সহায়তা করে। তানভীর নামে ওই মাদ্রাসার ছাত্র গ্রেপ্তারের পর তোয়াজ খুন হওয়ার রহস্য জানা গেল।”

Advertisement

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, “হত্যার পর মোটিভ ও ক্লুলেস ছিল মামলাটি। এঘটনায় নিহতের ভাই আক্কাচ আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল বিষয়টি সর্বক্ষণ মনিটরিং করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিকে সনাক্ত ও পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়।”