ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি,বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ || আশ্বিন ২ ১৪৩২ :
লক্ষ্মীপুরে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আওলাদ হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
Advertisement
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে মেঘনা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেঘনা বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি রিকশাচালক। অভিযুক্তরা হলেন— স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আজাদ হোসেন ও সেক্রেটারি ফারুক হোসেন।
Advertisement
আবশ্যক
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আওলাদকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করা হয়। শালিসি বৈঠকের নামে এ কাণ্ড করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। অনেকেই নিষেধ করা সত্ত্বেও আওলাদের মাথা ন্যাড়া করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আওলাদ হোসেন এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেছেন, শিশুটির বাড়িতে পানি খেতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ধর্ষণের অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্যে তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজাদ ও সেক্রেটারি ফারুকের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন বলেছেন, শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শালিস করা হয়। বৈঠকে আওলাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তখন উপস্থিত গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে মারধর কিংবা থানায় হস্তান্তর নয়, তার মাথা ন্যাড়া করা হয়েছে। এটি যদি অপরাধ হয়, তাহলে যে শাস্তি প্রশাসন দেবে, সেটি মাথা পেতে নেব।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে শিশুটির মাকে রিকশায় করে অন্যত্র নিয়ে যান আওলাদ। পরে খালি ঘরে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করায়, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়নি। অপরাধ করেছে, তাই গ্রামবাসী শাস্তি দিয়েছে। আমরা থাকায় আওলাদ প্রাণে বেঁচে যান। মানুষ খুবই ক্ষিপ্ত ছিল।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন বলেছেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ শালিসি বৈঠকে প্রমাণিত হয়। তাই, উপস্থিত লোকজন অভিযুক্তের মাথা ন্যাড়া করে দেন। তার স্বজনদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এটি দোষের কিছু নয়। কারো একক সিদ্ধান্তে মাথা ন্যাড়া করা হয়নি। তাছাড়া, বৃদ্ধ ও অসহায় হওয়ায় আওলাদ হোসেনকে পুলিশে দেওয়া হয়নি।
Advertisement
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেছেন, এ ঘটনার বিষয়ে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।