ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ || ভাদ্র ২৯ ১৪৩২ :
–দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুরের টুম্পা দাস তিনি একমাত্র রাজ্যের প্রথম মহিলা ডোম।বাবার মৃত্যুর পর ১০ বছর ধরে তিনি সংসার সংগ্রামে বেঁচে থাকার জন্য এই লড়াইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মহিলা ডোমের কাজ নিয়ে।একা হাতে বারুইপুরের পুরোন্দপুরের মহাশ্মশানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বছর ২৯ এ এই মহিলাডম।
Advertisement
নাম নথিভুক্ত থেকে চুল্লিতে ঢোকানো পর্যন্ত সবটাই নিজের দায়িত্বের পালন করেন তিনি ২০১৪ সালে বাবাকে হারান তিনি তারপরেই সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে তার কাঁধে বাড়ির বড় মেয়ে সংসার সামলাতে কিছু না ভেবেই যোগ দেন বাবার চাকরিতে।কল্যাণপুর অঞ্চলের পুরন্দর পুড়েই তার বাড়ি ছোট বোন মা ও ভাইকে নিয়ে তার সংসার। সেই সংসার । সংসার বাঁচাতে কোন ভয়-ভীতিকেই মনে আমল দেননি এই টুম্পা। কর্তব্যে অবিচল থেকে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দেহ সৎকার করে চলেন তিনি।
নিজস্ব চিত্র
মাসিক বেতন সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। এখন শ্মশানে বসেছে ইলেকট্রিক চুল্লি। তার আগে কাঠের চুল্লিতেই হতো শেষকৃত্য। সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে টুম্পা। তার কথায় কোনো কাজই কঠিন বলে ভাবেনি বাবা মারা যাওয়ার পর ভেবেছি সংসার কে বাঁচাতে হবে তাই যে করেই হোক এই কাজ করতে হবে।। প্রথম প্রথম একটু ভয় লাগতো পরে এখন আর হয়না পরিস্থিতি ও সময় থেকেই শিখেছি। মরা মানুষের থেকে জীবিত মানুষকে নিয়ে ভয় বেশি সেপরোয়া নেই মনোভাবের এই টুম্পা জানিয়ে দিলেন সব প্রতিকূলতা মানিয়ে নিয়েছি এখন শ্মশানের ভিতর বেশি সুরক্ষিত বলে মনে করছে এই টুম্পা।
Advertisement
আবশ্যক
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫
একাধিক সম্বন্ধ এসেছে বিয়ের কিন্তু তার কাজ সম্পর্কে জেনেই অনেকেই পিছু বা হয়ে যায়। তাতেও তার কোন কষ্ট নেই। টুম্পার। কারণ দিনের শেষে সংসার সংগ্রামে তিনি জয়ী হন। রাজ্যের একমাত্র মহিলা ডোম হিসেবে তার একটাই আবেদন যদি এই কাজটা
সরকার স্থায়ী করে দেয় তাহলে তিনি খুব খুশি হবেন।