ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ || ভাদ্র ১৮ ১৪৩২ :
একদিকে পুলিশের কারণে মুক্তিপণ হাতছাড়া হওয়ার ক্ষোভ, অন্যদিকে ভুক্তভোগীকে বাঁচাতে পুলিশ কেন সময় মতো এলো না- তাই এই দুই গ্রুপের রোষানলে হামলার শিকার হলেন পুলিশ সদস্যরা। দুই গ্রুপের যৌথ হামলার পাশাপাশি গাড়িতেও আগুন দেয়া হয়।
Advertisement
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে আদাবরের সুনিবিড় হাউজিংয়ের একটি নির্মাণাধীন ভবন ঘিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেন কব্জি কাটা গ্রুপের কিছু সন্ত্রাসী। ভেতরে আটকে রাখা হয় এক প্রেমিক যুগলকে। চলে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধারে গেলে শুরুতে কব্জি কাটা গ্রুপ হামলা চালায়। আর পুলিশ দেরি করে আসায় আটক থাকা সেই যুগলের অভিভাবকরাও হামলায় অংশ নেন। এতে গুরুতর আহত হন পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজন।
পুলিশ বলছে, হামলা চলাকালীন কেউ ছাড়াতে আসেনি, কিন্তু কেন?
স্থানীয় অনেকের মধ্যে রয়েছে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ, প্রকাশ্যে কথা না বললেও তাদের ভাষায় সেই ক্রোধ স্পষ্ট। হামলা ও মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে অবগত থাকলেও ভয়ে কথা বলতে চান না কেউই।
Advertisement
পুলিশ বলছে, আলোচিত কব্জি কাটা গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে দুই ভাই রনি ও জনি। তাদের সঙ্গে হামলায় অংশ নেন তাদের মা রেজেকা বেগমও। তিনি নিজে আবার মোহাম্মদপুরে মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত।

আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন,
পুলিশের যাওয়া দেরি হলো কেন– এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন আটকে রাখা যুগলের স্বজনরা। আবার টাকা পেতে দুস্কৃতকারীদের কেন বাধা দিলাম, সেটা নিয়ে ক্ষোভ তাদের।
রাতে আদাবর এলাকায় অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। এতে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ১৪ জন সরাসরি হামলায় জড়িত ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ও সন্ত্রাসী মামলা।

প্রেমিক যুগলকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় পুলিশ। ছবি: ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)