ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, সোমবার ১১ আগস্ট ২০২৫ || শ্রাবণ ২৭ ১৪৩২ :
যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি এবং সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেছেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি মামলায় তিনি ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলির পাঠা’।
Advertisement
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেছেন। রবিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
টিউলিপ বলেছেন, “সত্যি কথা হলো, মুহাম্মদ ইউনূস এবং আমার খালার মধ্যে এই বিরোধের কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্থ। এই বৃহত্তর শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমি লড়াই করছি… নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে মানুষ ভুল কাজ করেছে এবং তাদের এর জন্য শাস্তি পাওয়া উচিত। শুধু আমি তাদের একজন নই।”
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি হন টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে তিনি মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগসাজশে প্রভাব খাঁটিয়ে ঢাকার পূর্বাচলে তার মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট নিয়েছেন। টিউলিপ জানিয়েছেন, তিনি এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতেন না। সপ্তাহখানেক আগে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ গঠনের বিষয়টি জেনেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি ব্রিটিশ আইনজীবী হুগো কিথ কেসির পরামর্শ নিচ্ছেন। এখনো তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি।
Advertisement
তিনি বলেন, “আমি হুগো কিথ কেসির কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি, যিনি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। আমি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সমন দেখিনি… মানে, আমি মনে করি বিদেশে একটি প্রদর্শনী বিচারের জন্য কয়েক দিন দূরে আছি, এবং আমি এখনও জানি না যে আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে আমি এই কাফকেস্ক (ফ্রান্সিস কাফকার উপন্যাসের চরিত্রের মতো দুঃস্বপ্ন) দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকা পড়েছি যেখানে আমাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে এবং আমি সত্যিই জানতে পারিনি যে অভিযোগগুলো কী এবং বিচার কী সম্পর্কে।”