ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি,শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫ || শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২ :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার যুগান্তর অনলাইনে ‘শিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় মাদ্রাসা সুপার’ ও রোববার যুগান্তর প্রিন্টে ‘শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন সুপার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর ওই সুপারের আরও কুকর্মের তথ্য-প্রমাণ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। অভিভাবকরা বলছেন- মাদ্রাসা সুপার শুধু শিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর কাজে সীমাবদ্ধ না। ছাত্রদের সঙ্গেও আপত্তিকর কাজ করেন তিনি।
অভিযুক্ত শাহ নিজাম উদ্দিন হামীদী উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপির চারিজানিয়া মজুমদার বাড়ির সামছুদ্দিন হামীদীর ছেলে ও বাঙ্গড্ডা দারুল ফালাহ হামিদিয়া বালক-বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার।
জানা যায়, বাঙ্গড্ডা দারুল ফালাহ হামিদিয়া বালক-বালিকা দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো শিক্ষিকা আবার কখনো ছাত্রছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও অনৈতিক কাজের জন্য টার্গেট করেন মাদ্রাসা সুপার নিজাম। ২০২১ সালে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানিরসহ নিজামের এমন কুকর্মের প্রতিবাদে মাদ্রাসা থেকে পাঁচজন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এছাড়াও অভিভাবকরা নিজামের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে এসব কিছুই নিজামের লাগাম টানতে পারেনি।
Advertisement
সম্প্রতি এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনায় বের হয়ে আসে নিজামের মুখোশের আড়ালের রূপ। শিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার ছবি যুগান্তরের হাতে এলে নিজাম প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করতে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে ৩ বছর থেকে এই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে। মাদ্রাসা সুপার নিজাম প্রায়ই তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতেন এবং নির্যাতনের বিষয়ে বাপ-মা অথবা অন্য কাউকে বললে ছুরি দিয়ে ভয় দেখাতেন।
অভিযুক্ত শাহ নিজাম উদ্দিন হামীদীকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Advertisement
https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, দৈনিক যুগান্তরের সংবাদ আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলেছি।