ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রতিনিধি,শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫ || শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২ :
Advertisement
এ ঘটনায় জড়িত তিনজন হলেন- জিতেশ চন্দ্র গোপ (৩০), অনজিৎ চন্দ্র গোপ (৩৮) ও অসীত চন্দ্র গোপ (৩৬)।
জিতেশ চন্দ্র গোপ কিশোরগঞ্জ জেলার ইতনা থানার শহিলা গ্রামের যাদব চন্দ্র গোপের ছেলে, অনজিৎ চন্দ্র গোপ একই এলাকার রসময় চন্দ্র গোপের ছেলে এবং অসীত চন্দ্র গোপ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার সুয়াইর অলিপুর গ্রামের পতিত পবন গোপের ছেলে।
আজ শনিবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে এ ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলন হয়।
‘
Advertisement
ওষুধ কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক গোপন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোৎস্নার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। তখন জোৎস্না তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে তিনি তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলেন।’
ঘটনার বিভৎসতা বর্ণনা করে পুলিশ সুপার মুক্তা বলেন, ওইদিন বিকালে জোৎস্না জিতেশের দোকানে গেলে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে তাকে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এদিকে রাত গভীর হলে জোৎস্নার বাসায় যাওয়ার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে জোৎস্নাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেন জিতেশ। এতে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তখন জিতেশ তার দুই সহযোগী অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত গোপকে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। এরপর রাত গভীর হলে আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তখন জিতেশ ও তার দুই সহযোগী এনার্জি ড্রিংকস পান করে জোৎস্নাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।’
‘এরপর ধর্ষণের কথা সবাইকে বলে দেবেন বলে জানান জোৎস্না। এ কথা বলায় জিতেশসহ তিনজন জোৎস্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফল কাটার ছুরি দিয়ে তার মরদেহ ছয় টুকরো করেন।’
Advertisement
https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ
তিনি জানান, এ ঘটনার পর সিআইডির এলআইসি শাখার একাধিক দল আসামিদের গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকা থেকে জিতেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনজিৎ ও অসীত গোপকে গ্রেপ্তার করা হয় জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকা থেকে।